আভা ডেস্কঃ দুই দেশের বৈরিতা বৃদ্ধির দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ বিষয়কমন্ত্রী কিম ইয়ন-চুল।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার চরম দ্বন্দ্বের মধ্যে বুধবার তিনি ওই ঘোষণা দেন। তার পদত্যাগে সম্মতি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। খবর এএফপির।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ করে মঙ্গলবার দুই কোরিয়ার মিলনায়তন বা লিয়াজোঁ অফিস বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় উত্তর কোরিয়া। দুই দেশের মধ্যে যোগযোগ বৃদ্ধির স্বার্থে ২০১৮ সালে দক্ষিণের সীমান্তের ভেতর কেইসং এলাকায় ওই অফিস নির্মাণ করা হয়েছিল।
মিলনায়তন বা লিয়াজোঁ অফিস গুঁড়িয়ে দেয়ার কারণ ব্যাখ্যায় গতকাল পিয়ংইয়ং রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করে, ২০১৮ সালের বিভিন্ন চুক্তি পরিকল্পিতভাবে ভাঙার মধ্য দিয়ে দ্বন্দ্ব উসকে দিচ্ছে সিউল।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আচরণ ‘ভীত দোআঁশলা কুকুরের’ মতো, এমন মন্তব্যও করে পিয়ংইয়ং।
এ ছাড়া সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের উদ্দেশে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন উত্তরের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। মুনকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের চাপরাশি অ্যাখ্যা দেন।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষত্যাগী পলাতক নাগরিকরা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বেলুনে করে সীমান্তের ওপারে উত্তর কোরিয়াবিরোধী বার্তা পাঠিয়ে আসছে। এ নিয়েই গত কিছু দিন ধরে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
দক্ষিণের সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া। দুই কোরিয়ার সীমান্তে অসামরিক এলাকায় (ডিমিলিটারাইজড জোন-ডিএমজেড) সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।