আভা ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশন (ইসি) আসলে নিরপেক্ষ কোনো সংগঠন নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানটি এখন সরকার ও আওয়ামী লীগের একটা লেজুড়ভিত্তিক সংগঠনে দাঁড়িয়ে গেছে। মূলত ইসি আওয়ামী লীগের টা অঙ্গসংগঠনের পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক হুইপ সৈয়দপুরের নেতা শওকত চৌধুরীর যোগদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর দায়িত্ব হচ্ছে নিরপেক্ষভাবে, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখছি যে, তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রহসনের পরিণত করেছে। যে দেশে সংবিধানের মূল কথা হচ্ছে, জনগণ হচ্ছে রাষ্ট্রে মালিক ও জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবে। তাদের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বারবার করে বলেছি, এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। আমরা দাবি করেছি যে, নির্বাচন কমিশনের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা দরকার। এই সরকারের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা দরকার এজন্যে যে, তারা সংবিধানকে লঙ্ঘন করে জনগণের অধিকারকে কেড়ে নিয়েছে। বিনা ভোটের একটা বেআইনি সরকার তারা হয়ে আছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশন কেএম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন পরিচালনার কোনো যোগ্যতা নেই।
চট্টগ্রাম সিটি করোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচনে যা হয়েছে, তা আপনারা পত্র-পত্রিকায় দেখেছেন। একেবারে রক্তাক্ত, মানুষ মারা গেছে ২ জন। বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্রে থাকতে দেওয়া হয়নি। তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বের করে দেওয়া হয়েছে।
নতুন যোগদানকারী নেতা শওকত চৌধুরীকে বরণ করে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শওকত চৌধুরীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি আশা করি, যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে সৈয়দপুরের জনগনেকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নেতৃত্বে দেবেন।
শওকত চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয়তাবাদকে উদ্ধার করার সময়। এখন দেশে দুই দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। দুটিই গণতান্ত্রিক দল। আজকে আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্রটাকে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে বা চালাচ্ছে সেটা হলো প্রশাসনিক গণতন্ত্র। জনগণের গণতন্ত্র তাদের মধ্যে নেই। জনগণের গণতন্ত্র রয়েছে বিএনপিতে। জনগণের গণতন্ত্রের জন্য তারা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করছে। এই যোগদানের মাধ্যমে আমি সেই সংগ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলাম।’দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, সৈয়দপুর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল গফুর সরকার প্রমুখ।