ইন্টারনেট এখন আর গুটি কয়েক কাজের মধ্যে সীমাবন্ধ নয়।

আভা ডেস্ক : দেশে ফোরজি চালুর ৫ মাস পেরিয়ে গেল। ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও ইন্টারনেট গ্রাহকেরা এখনো উচ্চগতির ইন্টারনেট পাচ্ছে না।

মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সদস্যদে জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই দেশে ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু ফোরজি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে এখনো হতাশা। গ্রাহকেরা বলছে এখনোও তারা থ্রিজিই ঠিক ভাবে পাচ্ছে না । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঢাকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এখনো ফোরজি পাওয়া যাচ্ছে না। আর ঢাকার বাহিরে এর অবস্থা কেমন হবে তা অনুমান করা যাচ্ছে।

স্পেকট্রামের উচ্চ মূল্যের কারণে টাওয়ারের ক্ষমতা বাড়াতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে দাবি করেছে অপারেটর কোম্পানিগুলো। অন্যদিকে, ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিটিআরসির আরও চাপ বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ইন্টারনেট এখন আর গুটি কয়েক কাজের মধ্যে সীমাবন্ধ নয়। প্রয়োজনীয় সকল কাজই এখন ইন্টানেটের মাধ্যমে করা হয়। বিটিআরসির তথ্য বলছে, ১৫ কোটি মোবাইল ফোন গ্রাহকের মধ্যে সাড়ে ৮ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। যার ৮ কোটিই নেটব্রাউজ করেন মোবাইলে। মোবাইলে ফোরজি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯৫ শতাংশ এখনো ফোরজির গতি পাচ্ছে না।

ফোরজির গতি হওয়ার কথা সর্বোচ্চ ১৫০ এমবিপিএস আর সর্বনিম্ন ২০ মেগাবাইট পার সেকেন্ড গতি পাওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশে গড় গতি ২ থেকে ৭ এমবিপিএস।

এই ব্যাপারে অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব বলছে, সেবার মান বাড়াতে স্পেকট্রামের দাম কমানোর পাশাপাশি সহযোগী সেবা সংস্থার মাঝে সমন্বয় প্রয়োজন।

অন্যদিকে অপারেটরগুলোর ওপর তদারকি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।

অ্যামটবের মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবীর বলেন, ফোরজি ব্যবহার করতে হলে সাধারণ হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে হবে না। ইকোসিস্টেম উন্নত করার জন্য সরকারের সহযোগিতা দরকার।

এই দিকে বলা হচ্ছে ইন্টারনেটের দাম কমেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বলছে, ইন্টারনেট দাম কমলেও সাধারণ গ্রাহক পাবে কিনা তা নিয়েই সন্দেহ। বর্তমান বাজারে যেসকল স্মার্টফোন আসছে তার সব গুলোই ফোরজি উপযুগী। অনেকে ফোরজি ব্যবহার করতে নিজের ফোন পরিবর্তন করেছে কিন্তু ফোরজি না পাওয়াতে হতাশা প্রকাশ করছে।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট। একটি ইন্টারনেট কানেকশন অনেকগুলো পিসি ও মোবাইলে ব্যবহার করা যাচ্ছে। কিন্ত দেশের বেশি ভাগ মানুষ মোবাইলে সারাক্ষণ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তাদের জন্য সব সময় প্রয়োজন মোবাইল ইন্টারনেট। যা দিচ্ছে মোবাইল অপারেটরগুলো। অপারেটরগুলো চড়া দামে বিক্রি করছে ইন্টারনেট। অপারেটরগুলোও ফোরজি ইন্টারনেট ব্যর্থ হচ্ছে।

বিটিআরসি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলোর যে পরিমাণ স্পেকট্রাম থাকা দরকার সেই পরিমাণ নেই। তারা কম টাকায় বেশি ব্যবসা করতে চান। আমরা তাদের খরচ কমানোর চেষ্টা করছি, পাশাপাশি তাদেরও বোঝাচ্ছি।

সারা দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু করতে অপারেটরগুলোকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে বলে জানায় সরকারি এই সংস্থা।
বাংলা নিউজ

Next Post

আওয়ামী লীগ রাজশাহীবাসীকে ঠকিয়েছে, মিনু

শনি জুলাই ৭ , ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামি ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন নেতাকর্মীদের রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী সেন্টার ও বুথ পাহাড়া দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্স বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও রাসিক সাবেক মেয়র মিজানুর রহামান মিনু। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতই ভয়ভীতি দেখাক না কেন মাঠে এসে বিএনপি কর্মীদের কোন […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links