আভা ডেস্ক: ইংরেজি বিষয়ে খারাপ করায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। গত তিন বছরের তুলনায় এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার কমেছে। কমে গেছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের তুলনায় মানবিক বিভাগে শিক্ষার্থী বেশি ছিল। আবার মানবিকের অনেক শিক্ষার্থী ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বোর্ডের সামগ্রিক ফলাফলে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বছর ইংরেজি বিষয়ে পাশের হার মাত্র ৬৫ শতাংশ। যা গত তিন বছরের তুলনায় কম। এবার অন্য যে কোনো বিষয়ের চেয়ে ইংরেজি বিষয়ে পাশের হার কম। এতে পাশের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে।’
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরও বলেন, ‘ইংরেজিতে অকৃতকার্য হওয়ার কারণে এবার মানবিক বিভাগে পাসের হারও খুব কম। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৮১ দশমিক ৭২ শতাংশ হলেও, মানবিকে এর হার মাত্র ৫৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।’
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৫৭৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ নয় হাজার ৬৯২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ছেলে ৫৬ হাজার ৮২০ ও মেয়ে ৫২ হাজার ৮৭২ জন। পাস করেছে ৬৬ হাজার ২৫৮ জন। এতে পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৮৯ জন।
গত বছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ০২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ ছিল দুই হাজার ৪৪৭। ২০১৬ সালে পাশের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল চার হাজার ৫৮৬ জন। হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
যশোর শহরের ডা. আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জেএম ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই কলেজ থেকে চলতি বছর মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩০৫ জন। এর মধ্যে ২১৮ জন অকৃতকার্য হয়েছে। তাদের প্রায় সবাই ইংরেজি বিষয়ে খারাপ করেছে। যে কারণে সব বিষয়ে পাশের সংখ্যাও কমে গেছে।’
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার আকিজ কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘শুধু ইংরেজি নয়; তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি এবং বাংলা প্রথম পত্রের নৈর্ব্যক্তিক বিষয়ের প্রশ্নপত্রেও পদ্ধতিগত ভুল ছিল। এই কারণে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। এটিও ফল বিপর্যয়ের একটি কারণ।’
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোর্ডের অধীনে থাকা চারটি কলেজ থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। তবে শতভাগ পাস করেছে ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। প্রথম আলো