আভা ডেস্কঃ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর মন্ডলকে গুলি করে হত্যায় মামলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন, তার ছোট ভাই চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি ও চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপনসহ ২০ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ভেড়ামারা মডেল থানায় শনিবার বিকেল ৩টায় নিহত সিদ্দিকুরের চাচাতো ভাই এনামুল হক মন্ডল মেম্বার এ মামলা করেন।
ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিদ্দিকুরের ভাই বাদশা মন্ডল শুক্রবার সকালে চড়পাড়ার একটি জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ মালিথা মালিথা ও সর্দার গ্রুপের লোকজন এসে বাদশা মন্ডলের ওপর হামলা চালায়।
খবর পেয়ে বাদশাকে উদ্ধার করতে তার ভাই সিদ্দিকুর মন্ডল, খালেক মন্ডল ও ইউনুস মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান। এ সময় প্রতিপক্ষরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিদ্দিকুরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সিদ্দিকুরের দুই ভাই ইউনুস মন্ডল ও খালেক মন্ডল গুলিবিদ্ধ হন।
ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ আরাফাত বলেন, ‘বিষটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। খুব দ্রুত সব আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এনামুল হক মন্ডল মেম্বর বলেন, ‘আমার ভাইকে জাসদের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
সিদ্দিকুর মন্ডল হত্যাকারী স্বপন ও তপনসহ সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
মামলায় অভিযুক্ত জাসদ নেতা আব্দুল আলীম স্বপন বলেন, ‘এটি সামাজিক দ্বন্দ্ব। ফায়দা নেয়ার জন্য জাসদকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
‘অন্যদের কথায় উৎসাহী হয়ে নিহতের পরিবারের লোকজন মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের নামে অভিযোগ দিয়েছে।’