আভা ডেস্কঃ আসামি ধরেই কেন মিডিয়ার সামনে হাজির করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় রিভিশন আবেদনের শুনানিতে এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এ মামলার সব নথি নিয়ে হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়ে দুই তদন্ত কর্মকর্তা ব্যাখ্যা দেন। এ সময় আদালত মামলার তদন্তের সময় আসামির দোষ স্বীকার করা স্বাভাবিক কি না এমন প্রশ্ন করেন। আদালত বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো নজির নেই, স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসামি দোষ স্বীকার করেছে। সেখানে ধর্ষণ ও হত্যার কথা দোষ না করেই স্বীকার করলো? এই মামলার তদন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। ধর্ষণ ও হত্যা না করেও আসামিরা কীভাবে স্বীকার করলো, এটা বড় খটকা।
আদালত আরও বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গে বিচার শেষ হবার আগেই ব্রিফিং করে আসামিদের মিডিয়ার সামনে আনা বিচারকে প্রভাবিত করার সমান। একই সঙ্গে তদন্তকালীন সময়ে মামলা মিডিয়াতে টকশো করে যা অনুচিত।
আইনজীবী শিশির মনির শুনানিতে বলেন, উন্নত বিশ্বের সব জায়গায় জবানবন্দি নেওয়ার সময় আইনজীবী থাকেন। এটি বাংলাদেশেও থাকা উচিত। শুনানি শেষে আদালত ২৪ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে কথিত মৃত কিশোরী ফিরে আসা এবং তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ মামলার সব নথি তলব করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই মামলায় তদন্তের সঙ্গে জড়িত দুই তদন্ত কর্মকর্তাকেও তলব করেন আদালত।
গত ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়। ৫ আইনজীবীর পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন করেন।
গত ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়। ৫ আইনজীবীর পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন করেন।