নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প জাতীয় নগর দারিদ্র হ্রাসকরণ কর্মসূচি আর্থ-সামাজিক তহবিলের অধীন উপকারভোগীদের মাঝে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে নগর ভবনের সিটি হল সভা কক্ষে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা সহায়তা, ব্যবসায় সহায়তা ও শিক্ষানবীশ সহায়তার (বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ) অর্থ প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে রাজশাহীতে বিসিক-২ প্রকল্পে প্রায় ৪১ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ও চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠার কাজও এগিয়ে চলেছে। এই তিনটি শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা লাভ করলে এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে ।
গতানুগতিক শিক্ষা শিক্ষিত না হয়ে কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত হবার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন, হাতে কলমে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। বিভিন্ন ট্রেড ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বেকার থাকার কোন সম্ভাবনা নাই। তাই কারিগরী শিক্ষা গ্রহণ করতে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন আগামীতে সিডিসি পরিচালিত ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।
রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দীন সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি’র লিভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পুর কমিউনিটি প্রজেক্ট (এলআইইউপিসিপি) এর টাউন ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম মÐল ও সদস্য সচিব নির্বাহী প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার।
উপস্থিত ছিলেন রাসিকের সচিব আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লাহ, চীফ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মোঃ আজিজুর রহমান, এলআইইউপিসিপি সোসিও ইকোনমিক এন্ড নিউট্রিশন অফিসার জুলফিকার আলী, ডাচ বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) রিজিয়নাল ম্যানেজার এসএম শহিদুল ইসলাম, এরিয়া ম্যানেজার জাহিদ হাসানসহ উপকারভোগীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, আর্থ সামাজিক তহবিল এর অধীনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের উপকারভোগীদের মাঝে শিক্ষা সহায়তা (অষ্টম-দশম) শ্রেণির ৪০ জনকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ব্যবসা সহায়তা ৩৪৫ জনকে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার এবং শিক্ষানবীশ সহায়তা (বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ) ১শ ৯৯ জনকে ২৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পর্যায়ক্রমে প্রদান হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) এর মাধ্যমে উপকারভোগীদের মোবাইলে এসব অর্থ পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এই কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করছে ইউএনডিপি ও ইউকে এইড।