নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সফলতার গল্পটা দীর্ঘ হচ্ছে বোয়ালিয়া মডেল থানার। ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন যোগদানের পর থেকে অনেকগুলো সফল অভিযান শেষ করেছেন তিনি। পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের প্রত্যাক্ষ নির্দেশনায় ওসি ইতি মধ্যে স্বর্ণের বার থেকে শুরু করে কু-লেন্স মামলা, অস্ত্র উদ্ধারসহ সফলতা অর্জনে যার ঝুড়ি ভর্তি। তিনি আর কেউ নয়, ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। উদ্ধার করেছেন ছিনতাই হওয়া বিভিন্ন ব্যান্ডের ৮ টি স্মার্ট ফোন।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো রাজশাহী মহানরগীর বোয়ালিয়া মডেল থানার দরগাপাড়ার মোঃ আবুল কালামের ছেলে মোঃ সোহেল (২০) ও অরিফের ছেলে অমিত (২০), উপর ভদ্রা রেলবস্তির মোঃ সুমনের ছেলে মোঃ শাকিল (১৯) এবং বেলপুকুর থানার পশ্চিম জামিরা গ্রামের মোঃ আমিনুল ইসলামের ছেলে মোঃ তুখরেজুল ইসলাম শাহেদ (৩০)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুন ২০২১ মোঃ নাইমুল হাসান (৪৮) এর ছেলে হাসান শাহরিয়ার নাসিফ প্রতিদিনের মত শরীর চর্চা শেষে পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলো। সে গোরহাঙ্গা মোড়ে বিআরটিসি কাউন্টারের কাছে পৌঁছালে তিনজন অজ্ঞাতনামা যুবক নাফিসকে ধাক্কা দিয়ে পথরোধ করে এবং তার কাছে থাকা Samsung Galaxy S8 মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাকে মারধর করে আটক রাখে এবং ছেড়ে দেওয়া শর্তে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে বিকাশে দুই হাজার টাকা দাবী করে। নাফিসের বাবা তার ছেলের অবস্থান জানতে চেয়ে সশরীরে হাজির হয়ে টাকা দিতে চাইলে ছিনতাইকারীরা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলে। তখন নাফিসের বাবা তাৎক্ষনিক ছেলের খোঁজে বের হন এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানায় এবং ছেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশি সহযোগীতা চান। ইতিমধ্যেই ছিনতাইকারীরা নাফিসকে নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। একপর্যায়ে নাফিস সুযোগ বুঝে দৌড় দিয়ে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
মামলা পরবর্তী সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আলী আকবর ও তার টিম ঐ সময়ের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করে আসামীদের সনাক্ত করেন। এরপর গত ২ জুলাই ২০২১ রাত ১১.০০ টা হতে আজ সকাল ১০.০০ টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ সোহেল (২০) ও মোঃ শাকিল (১৯)কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায় ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন তুখরেজুল ও অমিতের নিকট বিক্রয় করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে আজ সকাল ৮.৫০ টায় বোয়ালিয়া মডেল থানার গৌরহাঙ্গা মোড় হতে আসামী তুখরেজুল এবং অমিতকে আটক করেন। এসময় তাদের কাছে থেকে নাফিসের ছিনতাই হওয়া মোবাইল সহ আরো ৮ টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্ট মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।