আভা ডেস্কঃ শীত এখনও শেষ হয়নি। তাই দিনে ঠাণ্ডা যেন না লাগে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আর হালকা ঠাণ্ডা লাগলেও এড়িয়ে যাবেন না। মনে রাখবেন– আপনার সামান্য অসাবধানতার কারণে নিউমোনিয়াও হতে পারে।
ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে এই রোগ অল্প থেকে ক্রমশ গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শীতকালেই শরীরে বাসা বাঁধে নিউমোনিয়া। ৬০-৬৫ বছরের বেশি বয়স হলে অথবা চার বছরের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
নিউমোনিয়ার কারণে ফুসফুসে পানি জমেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
যেভাবে ফুসফুসে সংক্রমণ হয়
ফুসফুসে সংক্রমণের জন্য ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসই মূলত দায়ী। জেনারেল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সুবীর মণ্ডল বললেন, শীতকালে জীবাণু দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি করে। এ সময়ে নিউমোনিয়ার প্রকোপে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। নিউমোনিয়া মূলত তিন ধরনের। কমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া (ক্যাপ), হসপিটাল অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া (হ্যাপ) আর ভেন্টিলেটর অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া (ভ্যাপ)। এর মধ্যে হ্যাপ ও ভ্যাপে আক্রান্ত হওয়া মানুষের শরীরের দ্রুত অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
নিউমোনিয়ার লক্ষণ-
১. নিউমোনিয়া রোগের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ অস্বাভাবিক জ্বর। জ্বর ক্রমশ বাড়তে থাকা নিউমোনিয়ার অন্যতম লক্ষণ।
২. জ্বর যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং কিছুতেই না কমে, তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩. আর কাশিও থাকবে এবং বুকে ব্যথাও হবে।
৪. নিউমোনিয়া খুব দ্রুত শরীরকে দুর্বল করে দেয়।
কখন হাসপাতালে ভর্তি হবেন?
কাশি না কমলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বুকের এক্স-রে করাতে হবে। জ্বরের মাত্রা না কমলেও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাই ভালো।
কী করবেন?
১. ঠাণ্ডা যাতে না লাগে তার জন্য গরম জামাকাপড় পরে থাকতে হবে।
২. রাতের দিকে রাস্তায় বেরোতে হলে বয়স্ক ও শিশুদের কানঢাকা টুপি পরতে হবে।
৩. নিয়মিত ধূমপান, মদ্যপান বন্ধ করে দেয়া উচিত।
৪. বয়স্কদের উচিত নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে টিকা নেয়া। শিশুদের চেয়েও এই টিকা বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজনীয়। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের সহজাত প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে।
৫. ‘ভিটামিন সি’ও নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। রোজ একটি করে সিট্রাস ফল খেতে পারেন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা