আদালতের নির্দেশে মাটিচাপায় ধ্বংস হলো ৯ হাজার কোটি টাকার কোকেন ।

আভা ডেস্কঃ প্রায় পাঁচ বছর আগে সূর্যমুখী তেল ঘোষণা দিয়ে বলিভিয়া থেকে আনা ড্রাম ভর্তি ৩৭০ লিটার কোকেন আদালতের নির্দেশে মাটিচাপা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এই কোকেনের বাজারমূল্য প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।

বন্দররগরী চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭ এর সদর দপ্তরে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের উপস্থিতিতে এই কোকেন মাটিচাপা দেয় র‌্যাব। এসময়  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পরিবশে অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মাদক ধ্বংস অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা কোকেন আমদানি করেছেন তারা উপযুক্ত শাস্তি পাবেন।’

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ বলেন, ‘দেশীয় চক্র এবং বিদেশি চক্র কোকেন আমদানির সঙ্গে জড়িত। এরমধ্যে দুজন প্রবাসী যুক্তরাজ্য অধিবাসী। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, ফরিদুল হক খান, পীর ফজলুর রহমান ও এম এ লতিফ এমপি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কন্টেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বলিভিয়া থেকে আমদানি করা সূর্যমুখী তেলবাহী কন্টেইনারটি সিঙ্গাপুর হয়ে ১২ মে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

আটকের পর আদালতের নির্দেশে কন্টেইনারটি খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ৫৯ ও ৯৬ নম্বর দুটি ড্রামে ১৮৫ লিটার করে মোট ৩৭০ লিটার কোকেন ছিল।

এ ঘটনায় বন্দর থানায় প্রথমে মাদক মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে চোরাচালানের ধারাও যুক্ত করা হয় ওই মামলায়। মামলাটি পুলিশ থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে মাদক আইনের ধারায় কোকেন আমদানিকারক খান জাহান আলী প্রতিষ্ঠানের মালিক নূর মোহাম্মদের নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

পরে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত ক্রুটিপূর্ণ হওয়ায় মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য র‌্যাবকে নির্দেশ দেয় আদালত। র‌্যাব তদন্ত করে নুর মোহাম্মদকে অর্ন্তভুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করে। চোরাচালানের ধারায় দায়ের হওয়ায় মামলাটি এখনো অধিকতর তদন্ত করছে র‌্যাব-৭।

Next Post

পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রীসহ ফাস্টফুড বর্জনের আহ্বান করলেন রাষ্ট্রপতি ।

বুধ ফেব্রু. ৫ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ পরিবেশ বাঁচাতে পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ফাস্টফুড জাতীয় খাবার পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে বলেন তিনি। বুধবার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান বিশ^বিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links