আগামী ২০২০-২১ সালকে ‘মুজিব বছর’ হিসেবে পালন করা হবে

আগামী ২০২০-২১ সালকে ‘মুজিব বছর’ হিসেবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৬ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথসভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি দলের পক্ষে ‘মুজিব বছর’ পালনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
২০২০ সালে পূর্ণ হবে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শত বছর এবং ২০২১ সাল হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর।
জাঁকঝমকভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করা হবে ঘোষণা দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম তারিখ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিব বর্ষ পালিত হবে। এখানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও থাকবে। এই সময়ের মধ্যে যেসব জাতীয় ও দলীয় (আওয়ামী লীগের) দিবস পড়বে সেগুলোকেও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হবে। দেশের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যন্ত এই বর্ষ পালন করা হবে। মুজিব বর্ষ সরকারিভাবেও পালিত হবে।’ তিনি জানান, বছরব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে উদযাপিত হবে জন্মশত বার্ষিকী। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। বিভাগ জেলা ও ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে এই স্বাধীনতা। তিনি আমাদের ঋণী করে গেছেন। সেই ঋণ শোধ করতে হবে।’
শুক্রবারের যৌথসভায় মুজিব বর্ষের কর্মসূচি নির্ধারণের বিষয়টি এজেন্ডায় রয়েছে বলেও তিনি এ সময় উল্লেখ করেন।

গত ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়। এরপর শুক্রবার প্রথমবারের মতো উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছালে দলের মহাসচিব এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট দেশ ও জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। এরপর অবৈধ ক্ষমতা দখল। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদে দেশের এগিয়ে যাওয়া। উন্নয়ন স্তব্ধ। তবে সবকিছু পেছনে ফেলে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি নিয়ে এখন উন্নতির পথে কাজ চলছে। উন্নয়নের মহাসড়কে চলমান। স্যাটেলাইট মহাকাশে। উন্নতির পথে মানূষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা।’

অনেকে দেশের উন্নয়ন চায় না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকের চোখে সরকারের উন্নয়ন ভালো লাগে না। তারা গরিব থাকবে তা দেখিয়ে বিদেশ থেকে টাকা আনবে। আবার কেউ দরিদ্রদের লোন দিয়ে নিজেদের ভাগ্য গড়বে। কিন্তু দেশের উন্নয়নে তাদের সুযোগ সীমিত হয়ে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে। শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করছে মানুষ। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, এর সাথে উন্নত-সমৃদ্ধশালী হবে। সরকার শোসিতের পক্ষে এখন কাজ করছে। দেশের একটা মানুষ ঘরহারা নেই।’

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ‘অনেকে বলছেন, দেশ উন্নয়নশীল হওয়া ভালো নয়। তারা কীভাবে বলেন জানি না। আমরা ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে চলতে চাই না। আমরা সবসময় চেয়েছি কারো কাছে হাত পেতে নয়, নিজেদের সম্পদ ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নেবো। মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো। এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা চলেছি। আধুনিক জ্ঞানসস্মত জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে চাই।’
বাংলা ট্রিবিউন

Next Post

দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড

শনি জুলাই ৭ , ২০১৮
আভা ডেস্ক : দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নওয়াজ শরিফকে ৮০ লাখ পাউন্ড এবং মরিয়মকে ২০ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার পাকিস্তানের দায়বদ্ধতা আদালত-১ এর বিচারক মোহাম্মদ বশির এই রায় দেন। একই […]

এই রকম আরও খবর

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links