আকাশপথে ওড়ার উপযোগী ‘ট্যাক্সি’ সার্ভিস চালু করতে চায়

আভা ডেস্ক : এতদিন রাস্তায় চলাচলের ট্যাক্সি সার্ভিস দিয়েই যাত্রীদের মন কেড়েছে উবার। এবার তারা আকাশপথে ওড়ার উপযোগী ‘ট্যাক্সি’ সার্ভিস চালু করতে চায়। এজন্য অনেকটা হেলিকপ্টারের মতো দেখতে (বাস্তবে ড্রোন) আকাশযান নিয়ে বেশ জোরেশোরে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এবার সেই উড়ন্ত ট্যাক্সি চালুর জন্য নির্দিষ্ট সময় ও দেশের নাম ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপসিভিত্তিক এই ট্যাক্সি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বের পাঁচটি দেশে ২০২৩ সাল নাগাদ চালু হবে ওই উড়ন্ত ট্যাক্সি। তবে এটি নিয়ে এখনও নানা পরীক্ষা করছে উবার। তাই এই সেবা পুরোপুরি চালু হতে আরো ৫ বছর সময় লাগছে।

বৃহস্পতিবার টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ পাঁচটি দেশের কয়েকটি শহরের কথা ঘোষণা করেছে উবার। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ভারত ও জাপান এই পাঁচ দেশের ঘনবসতিপূর্ণ পাঁচ শহরে চলবে উবারের সেই উড়ন্ত ট্যাক্সি।

শুধু দেশই নয়, কয়েকটি শহরের নামও প্রকাশ করেছে উবার। এর মধ্যে প্রতিবেশী ভারতের তিনটি শহরের নামও রয়েছে। উবারের উড়ন্ত ট্যাক্সি চালু করার সম্ভাব্য শহরগুলো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন; ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো ও সাও পাওলো; ভারতের মুম্বাই, দিল্লি ও বেঙ্গালুরু এবং জাপানের টোকিও ও ওসাকা।

প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস ও লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ওই পাঁচ দেশ থেকে বেছে নেয়া এক শহরে চলবে উবারের উড়ন্ত ট্যাক্সি।

এর আগে গত মে মাসে উবারের এক কর্মকর্তা জানান, ‌আগামী দিনে আধুনিক শহরগুলোর প্রধান সমস্যা হতে চলেছে যানজট। তাই এখন থেকেই আমরা বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবছি। আগামী দিনে আকাশপথই হবে আমজনতার যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা উবারের এ কাজে সহায়তা করছে। ২০২০ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষামূলকভাবে চলতে শুরু করবে উড়ন্ত ট্যাক্সি। এরপর ২০২৩ সালে তা পুরোপুরি চালু হবে বলে আশা করছে উবার।

কেমন হবে উবারের এই উড়ন্ত ট্যাক্সি? এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, উবারের সাধারণ ট্যাক্সির মতোই অ্যাপের মাধ্যমে এটি বুকিং করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট স্থান থেকে তাতে ওঠার পর দ্রুত গন্তব্যে নিয়ে যাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি।

উবার ট্যাক্সির একটি সম্ভাব্য রুট হতে পারে টোকিওর হানেদা থেকে নারিতা এয়ারপোর্ট। সাধারণত ৪০ মাইলের এ পথে গাড়িতে যাতায়াত করতে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে উবারের উড়ন্ত ট্যাক্সিতে মাত্র ২০ মিনিটেই এ পথ পাড়ি দেওয়া যাবে।

Next Post

কুকুরের বদলি হিসেবে বিস্ফোরক উদ্ধারকাজে এবার বেজিকে ব্যবহার

রবি সেপ্টে. ৯ , ২০১৮
আভা ডেস্ক : কোনো অভিযানে পুলিশ বাহিনী বা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যে আরেকটি বাহিনীর দেখা মেলে সেটি হল ডগ স্কোয়াড বা কুকুর বাহিনী। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই মাইন বা বিস্ফোরক খুঁজতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ কাজে কুকুরের পরিবর্তে আর কোনো প্রাণীকে এখনও ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তবে এর […]

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links