অভিনেত্রী বুবলীর ফেইসবুক আইডিতে শিশুর ছবি, নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি।

আভা ডেস্কঃ ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ সময়ের আলোচিত নায়িকা শবনম বুবলী। শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করে দ্রুত তারকাখ্যাতি পান তিনি। ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে থাকাবস্থায় আড়ালে চলে যান বুবলী।

এর আগে তাড়াহুড়ো করে ‘ক্যাসিনো’ সিনেমার শুটিং শেষ করেন বুবলী। তখন প্রশ্ন উঠে, হঠাৎ এই তাড়াহুড়োর কারণ কী? যদিও এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুলেননি বুবলী। এই নায়িকাকে নিয়ে গুঞ্জন কম ওঠেনি। প্রেম, বিয়ে ও সন্তানের জননী হওয়াসহ বিভিন্ন গুঞ্জন উঠলেও এসবের সত্যতা মিলেনি।

দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা এই নায়িকার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শোভা পাচ্ছে এক শিশুর ছবি। তবে এই ছবি পোস্ট করার পেছনেও কারণ রয়েছে। ছবিটির সঙ্গে সচেতনতামূলক একটি পোস্ট দিয়েছেন বুবলী। এই পোস্টে ‘ইরা’ নামে এক শিশুর গল্প বলেছেন বুবলী। এতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য আকাশে তুলে ছেড়ে দিলে ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারেন।

বুবলী সংগৃহীত এই পোস্টে লিখেছেন—বাচ্চাদের আকাশে তুলে আবার কোলে নিয়ে আমরা অনেক আনন্দ পাই। বাচ্চারাও পায়। কিন্তু বাচ্চাদের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ম্যাচিউর হতে অনেকদিন সময় লাগে। খুব সহজেই সেগুলো আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। হাত ফসকে পড়ে গিয়েও ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ইরাকে যখন বারবার উপরে তোলা হচ্ছিল, তখন গ্রাভিটির এগেইনস্টে তাকে বারবার উপরে তোলায় তার মস্তিষ্কের সঙ্গে মাথার খুলির হাড্ডির বারবার ধাক্কা লাগছিল।

শিশুর মস্তিষ্ক ও হাড্ডি দুটোই নরম। বিষয়টি উল্লেখ করে লিখেন, যেহেতু শিশুর মস্তিষ্কটাও নরম আর মাথার হাড্ডিটাও নরম তাই হাড্ডির সঙ্গে বারবার ধাক্কা লেগে তার মস্তিষ্কের ধমনী ছিড়ে যায়। ধমনী শিরাতে রক্ত চলাচল করে। মস্তিষ্কের ধমনী ছিড়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয় মাথার ভিতরে। রক্তে থাকে গ্লুকোজ। গ্লুকোজ না পেলে মস্তিষ্ক ৪-৫ মিনিটের ভেতর মারা যায়। সাথে জীবন্ত মানুষটাও। রক্ত সব ধমনী দিয়ে বের হয়ে আল্টিমেটলি মস্তিষ্ক ডেথ হয় ছোট্ট ইরার। তাই এসব ব্যাপারে জানুন, সতর্ক হোন, নিজে বাঁচুন, আপনার প্রিয়জনকেও বাঁচান।

অন্তঃসত্ত্বা অনেক নারীই তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে বা পোস্টে শিশুদের ছবি পোস্ট করেন। আবার শিশুদের নিয়ে সচেতনতামূলক পোস্ট করে থাকেন। বুবলীর ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা!

তবে বুবলী বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন, বিয়ে করলে ঢাকঢোল পিটিয়ে সবাইকে জানিয়ে করবেন। প্রায় এক বছর ধরে বুবলী চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে দূরে রয়েছেন। এমনকি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরাও তার খোঁজও জানেন না। এদিকে বুবলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিত্রপুরীর অনেকেই অপু বিশ্বাসের উদাহরণ টানছেন। দীর্ঘ দিন অজ্ঞাতবাসের পর হঠাৎ সন্তান কোলে নিয়ে ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন অপু বিশ্বাস। নানা মুনি নানা মত দিলেও সত্যটা এখনো আড়ালে। আর এজন্য অপেক্ষা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই!

সর্বশেষ তড়িগড়ি করে ‘ক্যাসিনো’ সিনেমার শুটিং শেষ করেন এই বুবলী। তার অংশের শুটিং, ডাবিং শেষ করেছেন। কিন্তু এখনো অন্যান্য শিল্পীদের ডাবিং বাকি আছে। খুব শিগগির ডাবিং শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।

Next Post

পুঠিয়ায় নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও নির্যাতন বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

সোম নভে. ২ , ২০২০
পূঠিয়া প্রতিনিধিঃ নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ওয়ার্কার্স পার্টির পুঠিয়া উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে নারীর প্রতি যেকোনও অন্যায় হলে সেগুলোর দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে সংগঠনটি। সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার বানেশ্বর বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্কার্স পার্টির পুঠিয়া উপজেলা কমিটির […]

এই রকম আরও খবর

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links