নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চিকিৎসককে ফাঁদে ফেলে চাঁদা দাবির অভিযোগে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় এক নারী প্রতারককে আটক করেছে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ। আটক নারী প্রতারক হলো, পাপিয়া সুলতানা পলি (৩০)।
ঘটনার বরাতে জানা যায়, পলির সাথে পূর্ব পরিচয় ছিল অভিযোগকারী চিকিৎসক মাহাবুব আলমের। পূর্ব পরিচয় থাকায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারী পলি অসুস্থতার কথা বলে মাহবুব আলমকে নামের ঐ চিকিৎসককে বাসায় ডেকে পাঠায়। ঐ চিকিৎসক বাসায় গেলে পলি সহ অপরিচিত ৫ থেকে ৬ জন জোর পূর্বক ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ফাঁকা কাবিন নামায় বিবাহ রেজিস্ট্রি খাতায় স্বাক্ষর নেয়। পরে সেখান থেকে বের হয়ে চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন চিকিৎসক মাহবুব আলম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব আলম চন্দ্রিমা থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি রাজশাহীর বেসরকারি বারিন্দ মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেছে। পড়াশোনা সময় পলি সাথে যোগাযোগ হয় পাশের ভাড়াটি সূত্রে। সেই সুবাদে তার মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতেন মাহবুব। এতে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এর সূত্র ধরে মাঝে মধ্যে ফোনে চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ নিতেন অভিযুক্ত পলি। ঘটনার দিন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পলি ফোন করে মাহবুবকে জানান তার প্রচুর মাথা ব্যথা করছে। তাই বাইরে বের হয়ে ওষুধ কেনা তার পক্ষে সম্ভব না। এতে করে ওষুধ কিনে আনতে বলে মাহবুবকে।
পরে মাহবুব ওষুধ ও ডাব কিনে নিয়ে আসে পলির বাসায়। এর কিছুক্ষন পরে অজ্ঞতনামা ৫ থেকে ৬ জন রুমের ভেতরে প্রবেশ করে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পলির লোকজন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা মৃত্যুর ভয় দেখায়। এছাড়া ১০০ টাকা মূল্যে তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্পেসহ কথিত কাজী একটি ফাঁকা কাবিন নামা বইয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়।
চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মনির বলেন, মামলার পরে অভিযান চালিয়ে পাপিয়া সুলতানা পলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়। তার সহযোগিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।