অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে যৌতুক এর মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা। রাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুখসানা পারভীন বুধবার তার স্বামী ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।

বেলায়েত হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার তরা গ্রামের মইনুদ্দিনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বেলায়েতের সঙ্গে ওই শিক্ষিকার বিয়ে হয় ২০১০ সালের ২৫ জুন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে বেলায়েত তার স্ত্রী রুখসানাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা।

এ বছরের ৯ মার্চ ঢাকায় পুলিশ অফিসার্স মেসে দেখা করতে গেলে যৌতুকের দাবিতে সন্তানের সামনে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার স্ত্রীকে মারধর করেন। পরে রুখসানা পারভীনের মা-বাবা ঢাকা গিয়ে তাকে গ্রামের বাড়ি বেলকুচিতে নিয়ে আসেন। পরে বেলায়েত, তার মা-বাবা ও বোন মিলে গত ৩০ মার্চ বেলকুচিতে আসেন। এ সময় বাদির বাবা-মা ধারদেনা করে বেলায়েত ও পরিবারের দাবি করা যৌতুকের ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। পরে রুখসানা তাদের সঙ্গে যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে বেলায়েত বেধড়ক মারধর করেন বলে উল্লেখ করেন ওই শিক্ষিকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজির ফজলে খোদা ৫৫২/১৮নং পিটিশন আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বেলকুচি পৌর মেয়রকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় স্বামী বেলায়েত ছাড়াও তার বাবা মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, মা রোকেয়া বেগম এবং তার বোন দিলারা সুলতানাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল হামিদ লাবলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিষয়ে রুখসানা পারভীন বলেন, আমার স্বামী বেলায়েত বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করত। বেলায়েতের অপর নারীর প্রতি লোভ আছে। তার বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা মেয়েদের এবং অন্য মেয়েদের সঙ্গেও সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি তার ছোট বোনের বান্ধবী ইডেন কলেজের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানান। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সে ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছে।

ওই মামলার অন্য আসামি বেলায়েতের বোন দিলারা সুলতানা বলেন, রাবির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে রুখসানা পারভীন যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিল। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর আমার ভাই বেলায়েত তাকে প্রায় দুই মাস আগে ডিভোর্স দিয়েছে। তারপরও আমাদের পরিবারকে হয়রানির জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে মামলার আসামি বেলায়েত হোসেনের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Next Post

লাক্স তারকা নাদিয়া মিম এর বিয়ে ভেংগে গেল।

রবি জুন ১০ , ২০১৮
আভা ডেস্ক: ‘আমার কাছে মনে হয়েছে এই ছেলেটি আমাকে বোঝে। আমরা একসঙ্গে সারা জীবন কাটাতে পারব’ দুই বছর আগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাফায়াত আলীর সঙ্গে বিয়ের পর প্রথম আলোকে এমনটাই বলেছিলেন নাদিয়া মিম। কিন্তু দুই বছর পর তাঁদের দুজনের পথ দুইদিকে বেঁকে গেছে। আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে নিজেদের সংসার […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links