নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছোটবেলার ঈদগুলো মনে পড়ে? সব ভাই-বোনরা মিলে এসে জড়ো হত দাদু অথবা নানুবাসায়। চাঁদরাতে সবাই মিলে মেহেদি দিতাম। কার ডিজাইন বেশি সুন্দর হচ্ছে, কারটা ধেবড়ে গেছে, এসব নিয়ে কত হাসাহাসি, খুনসুটি। এই চাঁদরাত নিয়ে আমাদের সবার কত রঙিন স্মৃতি! এখনকার নাগরিক যান্ত্রিকতায় সেই আনন্দ হারিয়ে গিয়ে এখন কেবলই স্মৃতি। সেইসব স্মৃতি হাতড়ে এখনও আমরা আনন্দ পাই।
মেহেদি রাঙানো হাত কার না ভালো লাগে! মেহেদির টুকটকে লাল রঙে সাজানো দুহাত সামনে সামনে বাড়িয়ে দিলে কার না মন সাই দেবে হাত বাড়িয়ে দিতে। দলে দলে মেয়েরা বসে হাতে মেহেদি আঁকাচ্ছে। কেউ আঁকিয়ে দিচ্ছে। আবার অনেকে তুলছে সেলফি।
মেহেদি রঙে হাত সাজিয়ে বধূবেশে বসার জন্য কেউ মেহেদি কিন্তু পরেনি। তাই ১২ ভাজা আনন্দ আরও একবার উপভোগ করে এমন কিছু মানুষের সাথে যাদের হয়তো কখনো এই আনন্দে শামিল হওয়ার সুযোগ মেলেনি। তাদের গ্রহণ করেনি সমাজ, পরিবারও ঠেলে দিয়েছে দূরে। তাই তারা শুধু দূর থেকেই দেখেছে অন্যদের আনন্দ। হ্যাঁ, বলছি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কথা।
শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মোন্নাফের মোড়ে, রেডিও পদ্মা’র সম্প্রচার কেন্দ্রে রেডিও পদ্মা’র সহযোগিতায় মেহেদি উৎসবের আয়োজন হয় ।