আভা ডেস্ক: ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দল বলা হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপের স্কোয়াডকে। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়েুদু্র্দান্ত পারফর্ম করে আসা ‘থ্রি লায়ন্স’কে ঘিরে ইংলিশদের স্বপ্নটাও বড়। সেই স্বপ্নের শুরুটা হলো তাদের দারুণ। হ্যারি কেইনের জোড়া লক্ষ্যভেদে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের নাটকীয় জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
চমৎকার শুরু কাজে লাগিয়ে দ্রুতই লিড নেয় ইংলিশরা। অধিনায়ক হ্যারি কেইনের লক্ষ্যভেদে উৎসবে মাতে ইংল্যান্ড। দশম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার বড় স্কোরেরই ইঙ্গিত দিয়েছিল তারা। কিন্তু গোলের সংখ্যা বাড়া তো দূরে থাক, উল্টো তাদের হতাশ করে তিউনিসিয়া সমতায় ফেরে প্রথমার্ধেই। ফারজানি সাসির পেনাল্টি গোলে ইংল্যান্ডকে ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নদের আটকেই দিয়েছিল প্রায়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে কেইনের হেডে নাটকীয় জয় পায় ইংল্যান্ড।
ক্লাব ফুটবলে টটেনহামের জার্সিতে কাটিয়ে আসা কেইনের ফর্মটাই দেখা গেল ইংল্যান্ডের জার্সিতে। তার জাদুতেই ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে ইংল্যান্ড। ড্রটাই যখন মনে হচ্ছিল সম্ভাব্য ফল, ঠিক তখনই কেইন-চমক। দুর্দান্ত হেডে ইংলিশ অধিনায়ক নিশ্চিত করেন জয়। ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেড করেছিলেন হেন্ডারসন। মাথায় ঠিক মতে লাগাতে না পারলেও বল ভাসতে ভাসতে চলে আসে ফাঁকায় থাকা কেইনের কাছে। টটেনহাম স্ট্রাইকার হেডে লক্ষ্যভেদ করে আনন্দে ভাসান ইংলিশদের।
হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডহ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড
ম্যাচের শুরু থেকেই সুযোগ তৈরি করে থ্রি লায়ন্স। ম্যাচ ঘড়ির দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু জেসে লিনগার্ডকে হতাশ করেন তিউনিসিয়া গোলরক্ষক মোয়েজ হাসেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডারের শট তিউনিসিয়া গোলরক্ষকের পায়ে লেগে রক্ষা পায়।
মিনিট খানেক পর আবারও আক্রমণে ইংলিশরা। লিনগার্ডের ক্রস ফাঁকায় থেকেও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন রহিম স্টারলিং। যদিও আগেই সহকারি রেফারি উঠিয়েছিলেন অফসাইডের পতাকা।
আক্রমণের পর আক্রমণ চালানো ইংল্যান্ডকে গোল পেতে অবশ্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। দশম মিনিটেই হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে যায় ‘থ্রি লায়ন্স’। অ্যাশলে ইয়ংয়ের নেওয়া কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড করেছিলেন জন স্টোনস। ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডারের হেড ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন তিউনিসিয়া গোলরক্ষক হাসেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, গোললাইন থেকে বল ফেরালেও ফিরতি বলে পা লাগিয়ে জালে জড়িয়ে দেন কেইন।
এরপরও চলেছে ইংলিশদের দাপট। কিন্তু লিডটা ধরে রাখতে পারেনি। ৩৫ মিনিটে তিউনিসিয়া খেলায় ফেরে পেনাল্টি গোলে। ইংলিশ ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার নিজেদের সীমানার মধ্যে ফাউল করে ফখরেদ্দিন বিন ইউসেফকে। রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। স্পট কিক থেকে পাওয়া সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিউনিসিয়াকে সমতায় ফেরান ফারজানি সাসি। এটাই ২০১৮ সালের আসরে কোনও আফ্রিকান দেশের প্রথম গোল।
তিউনিসিয়াকে সমতায় ফেরান ফারজানি সাসির উল্লাসতিউনিসিয়াকে সমতায় ফেরান ফারজানি সাসির উল্লাস
অবশ্য বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল ইংল্যান্ডের। তিউনিসিয়ার বদলি গোলরক্ষক ফারুক বিন মুস্তাফা এগিয়ে আসায় লিনগার্ড চিপ করেছিলেন, কিন্তু ফাঁকা গোলে বল না জড়িয়ে লাগে পোস্টে। হতাশায় মাথায় হাত ইংলিশ সমর্থকদের।
শেষ বাঁশি বাজার পর অবশ্য উল্লাসই করেছে ইংলিশরা। হ্যারি কেইনের ইনজুরি টাইমের জাদুতে জয় দিয়েই যে বিশ্বকাপ শুরু করেছে থ্রি লায়ন্স।
বাংলা ট্রিউব্রুন।