আভা ডেস্ক: সুখী দাম্পত্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। স্বামী এবং স্ত্রী, উভয়কেই তাদের দাম্পত্য জীবন সুন্দর রাখার জন্য অনেক কিছু উৎসর্গ করতে হয়। একে অপরের প্রতি নিবেদিত হতে হয়। দাম্পত্য জীবনকে সুখী করার জন্য বিশ্বাস, ভরসা, ভালবাসার পাশাপাশি আরও একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে। সেটা হল, শারীরিক সম্পর্ক।
মধ্যবয়সী দম্পতিরা অনেকেই কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক থেকে নির্লিপ্ত হয়ে থাকেন। একই সমস্যা দেখা দেয় সন্তান জন্ম নেওয়ার পরে। স্ত্রীরা শারীরিক সম্পর্ক থেকে দূরে সরে থাকেন। আর সন্তান বড় হয়ে গেলে নিজেদের মধ্যে একটি অলিখিত ব্যবধান তৈরি করে ফেলেন। অনেকে তো এক বিছানায় শোয়া বা স্পর্শ থেকেও শত হস্ত দূরে থাকেন। কিন্তু, আমরা অনেকেই জানি না যে, শারীরিক সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী, দু’জনের দেহ ও মন ভাল রাখতে কতটা জরুরি!
দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্ক মানসিক শান্তি, উৎফুল্লতা বজায় রাখে। পাশাপাশি, দুশ্চিন্তা, অবসাদ, হীনমন্যতা দূর করা এবং আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে শারীরিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক সম্পর্ক মানে শুধুই যৌনমিলন নয়। আবেগময় স্পর্শ, হাতে হাত রাখা, জড়িয়ে ধরা, চুম্বন— এগুলিও শারীরিক সম্পর্কের অন্তর্গত। শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে একে অপরের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলিকে স্পর্শ করা, উভয়ের শারীরিক চাহিদা মেটানোর মাধ্যমে ভরসা জোগানো ও সম্মান জ্ঞাপন করা খুবই জরুরি।
তা ছাড়া, ক্যালোরি ও ফ্যাট কমানো, হজম শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও শারীরিক সম্পর্ক বা যৌনসঙ্গম উপকারী। এ ছাড়া, যৌনসঙ্গম আমাদের শরীরে ইমিউনোগ্লোবিউলিন নামক অ্যান্টবডির পরিমাণ বাড়ায় যা ঠান্ডা লাগার প্রকোপ কমায়। যৌনসঙ্গমের সময় অক্সিটোসিন হরমোন নির্গত হয়, যা ঘুমের সমস্যা কমিয়ে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় এবং হার্টের সমস্যা কমায়।
অনলাইন