ঈদকে সামনে রেখে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে ২০১৭-২০১৮ বরাদ্দকৃত ভিজিএফ এর তালিকা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জমা না নেয়ায় ওই ইউনিয়নের এক হাজার চার শত ৫৮ টি হত দরিদ্র পরিবার ওই প্রকল্পের চাল পায়নি। আর প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যরা।
১৩ জুন বুধবার বিকেলে বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দকৃত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক হাজার চার শত ৫৮ টি ভিজিএফ এর তালিকা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জমা না নেয়ায় হত দরিদ্রদের জন্য সরকারে দেয়া মাথা পিছু ১০ কেজি করে চাল পায়নি ওই ইউনিয়নের উপকার ভোগীরা।
ফলে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওই ইউনিয়নের হত দরীদ্র এক হাজার চার শত ৫৮ টি পরিবার। তিনি আরো জানান, ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ৪০ দিনের কর্মসুচিসহ সকল কাজে দলীয় নেতা কর্মীদের হিস্যা দিতে হয়। যখন এই হিস্যা তাদের মনমত না হয় তখন কোন কাজ এই পরিষদ পায়না। এছাড়া শীতের সময় শীত বস্ত্র, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা,এমনকি সৌদি আরব থেকে পাঠানো মাংশ হতেও এই ইউপির হত দরীদ্ররা বঞ্চিত হয়ে আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মোট ভিজিএফ কার্ডের শতকরা ৫০ ভাগ কার্ড দলীয় নেতা কর্মীদের না দেয়ায় তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা তাদের দেওয়া তালিকা জমা নেয়নি । প্রতিটি কাজেই তাদের হিস্যা দিতে হয়, আমরাও আওয়ামীলীগ করি, জনগন আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে কিন্তু হিস্যার চাপে আমরা তাদের সেবা দিতে পারছিনা।
শুধু তাই নয়, উপজেলার প্রতি মিটিংএ এই পরিষদের সদস্য উপস্থিত থাকলেও পরিষদের চেয়ারম্যানকে একাধিকবার কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সর্বপরি আমাদের উপর খড়গ চালানো হচ্ছে।
ভিজিএফের তালিকা জমা না নেওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ভিজিএফ প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিনিই এ ব্যাপারে বলতে পারবেন এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবোনা।
এ ব্যাপারে ওই প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, ভিজিএফ প্রকল্প কমিটির সাথে সমন্বয় করে তালিকা তৈরী ও জমা দিতে হবে, কিন্তু বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা ওই কমিটির সাথে সমন্বয় না করে তালিকা জমা দেয়ার চেষ্টা করেছেন যা বিধি সম্মত না হওয়ায় উক্ত তালিকা গ্রহন করা হয়নি।