আভা ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী আর যোগিতা বালির বড় ছেলে মিমোর বিয়ে হলো মাদালসা শর্মার সঙ্গে। তবে এবার আগে থেকে তাঁদের বিয়ের ব্যাপারে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। অনেকটা গোপনেই আজ মঙ্গলবার দীর্ঘদিনের বান্ধবী মাদালসার সঙ্গেই সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন মিমো। এরপর টুইটারে তাঁদের বিয়ের ছবি পোস্ট করা হয়।
মিমো আর মাদালসা শর্মার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল গত শনিবার রাতে, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের নীলগিরি জেলার উটির বিলাসবহুল এক হোটেলে। আর সেই হোটেলের মালিক মিঠুন চক্রবর্তী নিজেই। এখানেই আয়োজন করা হয় মিমোর বিয়ের অনুষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ে হোটেলে চলে আসে বরপক্ষ আর কনেপক্ষ। কিন্তু বিয়েটা আর হয়নি। পুলিশ এসে হানা দেয় হোটেলে। এরপর কনেকে নিয়ে হোটেল থেকে চলে যায় কনেপক্ষ। তখন সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, মিমোর বিয়ে ভেঙে গেছে।
এখন জানা গেছে, সেদিন বিয়ে মোটেও ভেঙে যায়নি। রেজিস্ট্রি হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানও পালন হয়েছে। আর আজ বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পরিবার থেকেই অতিথিদের তালিকা ছোট করা হয়। আজ বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠজনেরা। আর এই বিয়ের ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানতে পারেনি।
শনিবার বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য সেদিন সকালে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে মিমো আর তাঁর মা যোগিতা বালি জামিন নেন। এর আগে বোম্বে হাইকোর্টে মিমোর জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু বোম্বে হাইকোর্ট এই জামিনের আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে করার আদেশ দেন।
৭ জুলাই যে মিমো চক্রবর্তীর বিয়ে হবে, তা আগেই চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু এর আগেই ঘটে যায় দুঃখজনক ঘটনা। মিমোর সাবেক প্রেমিকা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। এই নারীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিমো তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে মিমোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মিমো চক্রবর্তীর পুরো নাম মহাক্ষয় চক্রবর্তী।
বিয়ের আসরে মিমো ও মাদালসা শর্মা
গত সপ্তাহে মিমোর বিরুদ্ধে দিল্লির রোহিণী আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ করেন মিমোর সাবেক প্রেমিকা। রোহিণী আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক একতা গৌবার নির্দেশে অভিযোগ আমলে নেয় দিল্লি পুলিশ। এরপর পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানায়, এটা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ মামলা। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাজ্যসভার একজন সাবেক সাংসদের নাম। বিচারক মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে পুলিশ বিভিন্ন ধারায় মিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। চলছে তদন্ত।
অভিযোগ উঠেছে মিমোর মা যোগিতা বালির বিরুদ্ধেও। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিমোর সাবেক প্রেমিকাকে প্রতারণা ও মানসিক নির্যাতন করে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেছেন।
বলিউডের প্রযোজক সুভাষ শর্মার মেয়ে মাদালসা শর্মা নিজেও বলিউডের তারকা। ২০০৯ সালে তিনি প্রথম তেলেগু ছবিতে অভিনয় করেন। মিমো ২০০৮ সালে ‘জিমি’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এখন তাঁর বয়স ৩৩ বছর। মিমো ইতিমধ্যে বলিউডের আটটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে আটটি হিন্দি আর একটি বাংলা ছবি। হিন্দি ছবিগুলো হলো ‘জিমি’, ‘দ্য মার্ডার’, ‘হান্টেড’, ‘লুট’, ‘রকি’, ‘এনিমি’, ‘টুক্কা ফিট’ ও ‘ইসকিদরিয়াঁ’। আর বাংলা ছবিটি হলো ‘রকি’।
প্রথমআলো