বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার হিসাবরক্ষক হাসান আলী আওয়ামীলীগ এক নেতার ছেলে সেলিম সরকার মারপিট করেছে মর্মে, অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর মেয়রের কার্যালয়ে তার সামনে এই মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বাঘা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে সেলিম সরকার মঙ্গলবার দুপুরে ঠিকাদারি কাজের বিলের টাকা তুলতে যায়।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষক হাসান আলীর সাথে কমিশনের টাকা নিয়ে পৌরসভার প্রকৌশলীর কক্ষে প্রথমে কথাকাটাকাটি হয় সেলিম সরকারের। এক পর্যায়ে হাসান আলীকে বেধম মারপিট করা হয়। ঘটনাটি পরে মেয়র আবদুর রাজ্জাককে অবহিত করতে গেলে সেখানেও হাসান আলীকে আবারও মারপিট করা হয়।
সেলিম সরদার জানান, আমার বাবা ঠিকাদারি হিসেবে তার মাধ্যমে কিছু দিন আগে বিল প্রেরণ করি। এক লক্ষ ১৯ হাজার টাকা বিলের বিপরিতে পাঁচ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করে হিসাবরক্ষক হাসান আলী। তিন হাজার টাকা দিয়ে বাঁকি দুই হাজার টাকা পরে দিতে চায়। কিন্তু তিনি অগ্রিম টাকা দাবি করে। এ সময় টাকা না থাকায় দেয়া সম্বব হয় না। কিন্ত হাসান আলী উৎকচর না নিয়ে চেকে স্বাক্ষর করতে চায়নি। ফলে আমি রাগান্নিত হয়ে তাকে দু/একটি চড় থাপ্পর মেরেছি।
হিসাবরক্ষক হাসান আলী উৎকোচ চাওয়ার কথা অস্বিকার করে বলেন, কাজের মান নিয়ে তার সাথে কথা হচ্ছিল। বিলের বিষয়টি জানার জন্য সচিবের কক্ষে যায়। সেখানে গিয়ে বিলের বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে প্রথমে প্রকৌশলীর কক্ষে পরে মেয়রের কার্যালয়ে তার সামনে আমাকে মারপিট করে। তবে হাসান আলী তার টেবিলে তিন হাজার টাকা রাখার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, পরে এই টাকা সেলিম সরকারকে ফেরত দেয়া হয়েছে।
বাঘা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস সরকার বলেন, আমার ছেলে সেলিম সরকার অনাকাঙ্খিত একটি ভূল করেছিল। তাদের কাছে ভুলের ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।
প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, সমাঝোতার পর ঠিকাদারি বিলের টাকা আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
বাঘা পৌর মেয়র আবদুর রাজ্জাক বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছিল। তাৎক্ষনিক কাউন্সিলরদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাঝোতা করা হয়েছে।