নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের অনেকের মতো কর্মহীন হয়ে পড়েছে রাজশাহী নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজরাপুকুর এলাকার দরিদ্র ৫টি পরিবার। প্রায় এক মাস থেকে সঞ্চয় খুইয়ে আয় রোজগার না থাকায় কয়েকদিন থেকে তারা তিন বেলার মধ্যে মাত্র এক বেলা আলু ভর্তা দিয়ে সামান্য ভাত খেয়ে আসছিলো। ওয়ার্ডে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও, তাদের হাতে কোন সহায়তা এসে পৌছেনি। চক্ষু লজ্জার কারণে কারো কাছে হাতও পাততে পারছিলো না এই পরিবারগুলো।
তবে সন্তানদের ক্ষুধার জ্বালা দেখতে না পেরে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনর বরাবর এসএমএস পাঠান ওই পরিবারগুলোর একজন। যেখানে লেখা হয় ‘মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয় আমরা আপনার গরিব প্রজা শিরোইন কলোনী ওয়ার্ড ১৯ হাজরা পুকুর আতিকুল মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া অদ্যবধি কোন প্রকার সরকারি খাদ্য সহায়তা না পেয়ে ৫টি পরিবার এক প্রকার অনাহারে। হতদরিদ্র প্রজা।’
এসএমএসটি দেখার সাথে সাথে আরএমপি কমিশনার ম্যাসেজটি চন্দ্রমা থানার ওসি সিরাজুম মুনিরের কাছে ফরওয়ার্ড করেন ও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখতে বলেন। ওসি ম্যাসেজটি দেখার সাথে সাথে এসআই পারভেজকে সাথে নিয়ে বাজারে গিয়ে নিজেদের অর্থে ৫০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ৫লিটার সয়াবিন তেলসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ওই পরিবারের সাথে দেখা করেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় ওসি নিজে তাদের হাতে ওই খাদ্য সামগ্রীগুলো তুলে দেন।
৫টি পরিবারের সাথে কথা হলে তারা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। হাতে যে সঞ্চয় ছিলো তাও শেষ। কদিন থেকেই মাত্র একবেলা কোনো মতে খেয়ে দিন কাটাচ্ছে পরিবারের সকল সদস্য।
চন্দ্রিমা থানার সিরাজুম মুনির বলেন, বিষয়টি মানবিক। ওই পরিবারগুরো কমিশানর স্যারের কাছে ম্যাসেজ পাঠায়। স্যাার আমকে ম্যাসেজটি পরোয়ার্ড করে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন। আমরা পরিবারটির দরিদ্রতার প্রামাণ পাই। চন্দ্রিমা থানার পক্ষ থেকে তাদেরকে সহায়াতা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সামর্থবাসনদের সবাইকে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে এমন পরিবাররের পাশে।