রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র

নিজস্ব প্রতিনিধি: কোনো অবস্থাতেই আমারসহ দলের কথা বলে কেউ যদি চাঁদা কিংবা অবৈধ সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিন। সেইসঙ্গে মামলা করবেন। বিএনপি বা যুবদলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শিরোইল বাসটার্মিনাল এলাকায় সচেতনতা মূলক শান্তিসভায় এমন কথা বলেন তিনি।
সচেতনতা মূলক সভায় রফিকুল ইসলাম রবি বলেন, রাজশাহী মহানগর যুবদলের কেউ অবৈধ কাজের প্রশ্রয় দেবে না। ‘এসব কাজ যারা করছেন বা চেষ্টা করছেন তাদের আমি কঠোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। রাজশাহীর মানুষের সঙ্গে কোনোরকম অন্যায় করবেন না। আমাদের কারও নাম ব্যবহার করবেন না। আমাদের নামে চাঁদাবাজি ও অবৈধ সুবিধা আদায় কিংবা কোনো ধরনের হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।’
এমন কোনো বিষয়ে জানতে পারলে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন এই যুবদল নেতা।
দুর্নীতি, দখল, চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর বার্তা উপেক্ষা করে একটি গোষ্ঠী সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। কেউ চাইছে ঠিকাদারি, কেউ দাবি করছে চাঁদা, আবার কেউ ব্যস্ত চেয়ার দখল নিয়ে। ক্ষমতার পালাবদলে যেন দখলের মচ্ছব লেগেছে সর্বত্র। এসব বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একের পর এক ভিডিও বার্তা দিয়ে নেতাদের সংযত আচরণের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবুও কতিপয় অনুপ্রবেশকারী বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে পরিষ্কার ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার। নেতিবাচক কোনো কাজের দায় দল হিসেবে যুবদল নেবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একের পর এক ভিডিও বার্তা দিয়ে দলটির নেতাদের সংযত আচরণের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেটা বাস্তবায়নে কাজ করছে রাজশাহী মহানগর যুবদল।
সভায় রবি আরও বলেন, আপনারা পরাজিত অপশক্তির পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে চূড়ান্ত সফলতায় নিতে হলে কেউ দখলদারত্বে লিপ্ত হবেন না, দখলদারত্বে সহায়তা করবেন না। কেউ আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না। একটি মহল ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাতের অপচেষ্টা করছে। ১৫-১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার বিএনপির বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে কথা বলে পুরো দলকেই বিতর্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে। গণমাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। অথচ আমরা বারবার বলে আসছি এসবের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে নানা অপকর্মে জড়িতরা বেশির ভাগই ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে দাবি এ নেতার। তাঁর মতে, দলের কোনো পদ-পদবিতে নেই এদের। ছিলেন না কোনো কর্মসূচিতে। আন্দোলন-সংগ্রামেও দেখা যায়নি বিগত দিনে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারাই এখন বিএনপির ‘নেতাকর্মী’ সেজে গেছেন। দাপট দেখাতে শুরু করেছেন নিজ নিজ এলাকায়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দখল, চাঁদাবাজি আর অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরাই। এ পরিস্থিতিতে ‘অনুপ্রবেশকারী’ কথিত নেতাকর্মীর বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও রয়েছে। এসব প্রতিহত করতে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Next Post

নন্দীগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা প্রদান

মঙ্গল নভে. ২৬ , ২০২৪
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে ২৬ শে নভেম্বর (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ২ মিষ্টি ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার ২নং নন্দীগ্রাম (সদর) ইউনিয়নের শিমলা বাজার মনিটরিংকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি উৎপাদনের […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links