আভা ডেস্ক: সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে বারবার ফাউলের শিকার হওয়ার পর রেফারিদের কাছ থেকে সুরক্ষা চেয়েছেন নেইমার। তবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের নিয়মিত ট্যাকলের শিকার হওয়াটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মেনে নিচ্ছেনন ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ড।
রস্তোভ-অন-ডনে রোববার রাতে ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড ই-গ্রুপের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়। ফিলিপে কুতিনহো ব্রাজিলকে প্রথমার্ধে এগিয়ে দেয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্টিভেন সুবারের গোলে সমতা ফেরায় সুইজারল্যান্ড। পুরো ম্যাচে ১০ বার নেইমার ফাউলের শিকার হন।
ক্রীড়া উপাত্ত বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান অপটা জানায়, ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অ্যালান শিয়েরারের পর বিশ্বকাপে এক ম্যাচে এত বেশি ফাউলের শিকার হননি আর কোনো খেলোয়াড়।
পায়ের পাতার হাড় ভেঙে প্রায় তিন মাস মাঠের বাইরে থাকার পর প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামা নেইমারকে বেশ কয়েকবারই খোঁড়াতে দেখা গেছে।
তবে নিজের ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা নেই, আমাকে আঘাত করা হয়েছিল এবং এটা ছিল বেদনাদায়ক। কিন্তু এতে চিন্তার কিছু নেই… শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ব্যথা একটু বেশি লাগে। আমি ঠিক আছি।
ফাউলের বিষয়টি রেফারিদের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছেন ২৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড, এ নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। আমাকে শুধু ফুটবল খেলতে হয়। এটা দেখার জন্য রেফারি আছেন। হয়তো এটা স্বাভাবিক (নিয়মিত ফাউলের শিকার হওয়াটা) হয়ে যাবে।ম্যাচে তিনজন রেফারি থাকেন। তারাই তাদের কাজ করবেন। আর যদি তারা সেটা ঠিকমতো না করেন, সেটা তাদের সমস্যা।
ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার জানান, শুক্রবার কোস্টারিকার বিপক্ষে খেলার জন্য যথেষ্ট ফিট থাকবেন নেইমার। সে আগামী ম্যাচের জন্য শতভাগ ফিট। তার চিকিৎসার প্রয়োজন হবে না। আমরা চিন্তিত নই।
যুগান্তর