মাঠে দুর্দান্ত নেইমার। বল পায়ে যেমন জাদু দেখাচ্ছেন, তেমন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সামান্য ট্যাকলে পড়ে গিয়ে নাটকটাও ভালো করছেন। সমালোচকরা অবশ্য তার দ্বিতীয় ঘটনাটিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন বেশি। তিলকে রীতিমতো তাল বানিয়ে ছাড়ছেন।
তবে ব্রাজিল যুবরাজের দুই রূপেরই কীর্তন করেছেন আর্জেন্টিনা ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তিনি বলেছেন, নেইমার যেমন হাসাতে পারে, তেমন কাঁদাতেও পারে।
মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে ব্রাজিল। সেই ম্যাচে জয়ের নায়ক নেইমার। নিজে এক গোল করার পাশাপাশি সতীর্থ ফিরমিনোকে দিয়ে করিয়েছেন অপরটি। এমন নান্দনিক পারফরম্যান্সের ম্যাচেও নাটক পরিহার করতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। প্রতিপক্ষের হালকা আঘাতেই মাটিতে লুটিয়ে তীব্র ব্যথা পাওয়ার অভিনয় করেছেন। রেফারির কাছে ফাউলের আবেদন করেছেন। পরক্ষণেই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দিয়েছেন উসাইন বোল্টের দৌড়।
বিষয়টি নিয়ে ম্যারাডোনার বক্তব্য, নেইমারকে যখন মেক্সিকানরা আঘাত করে ফেলে দিচ্ছিল, তখন আমার কান্না পাচ্ছিল। আবার পরক্ষণে উঠেই যখন সে বজ্রগতির দৌড় দিচ্ছিল, তখন আমার হাসি পাচ্ছিল। তাকে দেখে যা বুঝলাম, সে যেমন সেরা ফুটবলার, তেমন সেরা অভিনেতাও। যে হাঁসাতেও পারে, কাঁদাতেও পারে।
’৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টনাইন অধিনায়ক বলেন, আমি বিষয়টি বেশ উপভোগ করেছি। আমি দেখেছি এক শক্তিশালী ব্রাজিলকে। যে দলটি বিশ্বকাপ জেতার দৌড়ে আছে। শিরোপা জেতার সবরকম ক্ষমতায় তাদের আছে।