আসন্ন রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর ৬ দিন আগে প্রকাশ পেল বিশ্বকাপের অফিসিয়াল থিম সং এর ভিডিও। গানটিতে উইল স্মিথের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন পপস্টার নিকি জ্যাম আর এরা এস্ত্রাফি। ‘লিভ ইট আপ’ নামে গত ২৪ মে গানটির অডিও রিলিজ দেওয়া হয় ফিফা থেকে। গানটির অডিও সংস্করণ ইউটিউবে প্রকাশ হওয়ার পর তেমন সাড়া পড়েনি। তবে ৭ জুন গানের সঙ্গে ভিডিও যুক্ত হওয়ার পর তা আগের চেয়ে দর্শকদের বেশি মন কাড়ছে।
তবে অডিও রিলিজের পর থেকেই গান নিয়ে ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকের কাছেই মনে হয়েছে, আগের দুই আসরের ক্যানানের ‘ওয়েবিন ফ্ল্যাগ’ অথবা শাকিরার ‘ওয়াকা ওয়াকা’র ধারে কাছেও নেই এই গান। তবে ভিডিও গান আসার পর তাদের হয়তো মন ভালো হয়ে যেতে পারে!
বিশ্বকাপের গান বিধায় বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করেই ভিডিও সাজানো হয়েছে। আর চমক হিসেবে গানে কেমিও দিয়েছেন ২০০২ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল ব্রাজিলের সুপারস্টার রোনালদিনহো আর সঙ্গে তিন শিল্পী তো আছেই।
১৯৬২ সালে চিলি বিশ্বকাপ দিয়ে অফিশিয়াল থিম সংয়ের প্রচলন করে ফিফা। স্প্যানিশ ভাষায় গাওয়া ‘এল রক দি মুন্দিয়াল’ গানটি সে বছর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তখন থেকেই প্রতি বিশ্বকাপে একটি থিম সং প্রকাশ করে সংস্থাটি। শুধু তাই নয় অনেকে আবার অনানুষ্ঠানিকভাবেও বের করেন থিম সং। বিশেষ করে বেভারেজ কোম্পানি কোকাকোলাও থিম সং প্রকাশ করে বিশ্বকাপ উপলক্ষে।
১৯৯৮ সালে কোকাকোলার তৈরি করা থিম সং ‘লা কোপা দি লা ভিদা’ তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। গানটি গেয়েছেন পপশিল্পী রিকি মার্টিন। সে ধারায় শাকিরারা গত তিন আসর ধরে থিম সং গেয়ে বিশ্ব মাতিয়ে রেখেছেন। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের থিম সং ‘ওলে ওলে’ গেয়েছিলেন পিটবুল ও জেনিফার লোপেজ। ২০১০ বিশ্বকাপে ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গেয়েছিলেন কলম্বিয়ান তারকা শাকিরা। তার করা গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। সেবার ক্যানানের গাওয়া ‘গিম মি ফ্রিডম’ নামে আরেকটি গান তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পায়।