নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঘাঃ রাজশাহীর বাঘায় দোলেনা বেগমকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দুই আসামীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩-৬-১৯) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আগের দিন বুধবার (১২-৬-১৯) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দোলেনা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চারঘাট উপজেলার পান্নাপাড়া গ্রামের কুরমান আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন, বাঘা উপজেলার চকবাউসা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম, পাঁচপাড়া গ্রামের তাহের সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম। ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এছাড়াও এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী উপজেলার আলাইপুর গ্রামের খাজের আলীর ছেলে মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়. গত ১০ জুন সন্ধ্যায় বাঘা উপজেলার হেদাতিপাড়া মাঠের লালু প্রামানিকের ভুট্ট্রা ক্ষেত থেকে ৪০ বছর বয়সের ওই নারির মরাদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মুখে ছিল পোড়া মবিল মাখানো, পরণে কমলা রঙের শাড়ি,গায়ে গাঢ় সবুজ রঙের ব্লাউজ। গলায় তার ওড়ানো প্যাচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। প্রথমতঃ মরদেহ গোলাপীর বলে সনাক্ত করা হয়। পরে গোলাপীকে জীবিত পাওয়া যায়। লাশ দাফনের দুই দিন পর ১২ জুন ছবি দেখে নিহতের স্বামী সুরুজ মিঞা দোলেনাকে সনাক্ত করেন। নিহত দোলেনা বেগম চারঘাট উপজেলার চারাবটতলা এলাকার সুরুজ মিয়ার স্ত্রী। তাকে অপহরনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে স্বামী সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি সুরুজ মিয়া বলেন, ৯ জুন আমার অনুপস্থিতিতে স্ত্রীকে অপহরন করে নিয়ে যায়। তারপর থেকে বিভিন্নস্থানে খোঁজ খবর করে পায়নি। ফলে আমি বাদী হয়ে চারঘাট থানায় একটি অভিযোগ করি। পরে জানতে পারি বাঘা থানায় একটি লাশ পাওয়া গেছে এবং দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে। পরে পুলিশের কাছে ছবি দেখে স্ত্রীকে সনাক্ত করি।
দোলেনা বেগমের বাবা এসাহাক হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকে জামাই মেয়ে আমার বাড়িতে থাকে। ৯ জুন জামাই এর অনুপস্থিতিতে উল্লেক্ষিত আসামীরা কৌশলে অপহরন করে নিয়ে যায়। পরে তাকে সনাক্ত করা হয়।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, মুখে পোড়া মবিল দিয়ে বিকৃত করার কারণে প্রথমে মরাদেহ সনাক্ত করতে ভূল করেছিল। গ্রেপ্তার করা ৩ জন আসামীকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে