ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল। এশিয়া কাপে ছয়বারের শিরোপা জয়ী ভারতকে তিন উইকেটে হারাল লাল-সবুজ প্রমীলা বাহিনী।
রোববার কুয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি ওভাল স্টেডিয়ামে স্বগৌরবে উড়ল বাংলাদেশের পতাকা।
টাইগ্রেসদের এ জয় যেন এক ঐতিহাসিক মঞ্চ রচনা। এশিয়া কাপের ছয় আসরের সবকটিতেই চ্যাম্পিয়ন শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। অন্যদিকে এবারই প্র্রথমবার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। সে হিসেবে ফাইনালে একেবারেই অনভিজ্ঞ একটি দল বাংলাদেশ শক্তিশালি ভারতকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলল।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে বাংলাদেশ নারী দলের এমন সাফল্য অভূতপূর্ব।
এশিয়া কাপের এ আসরে দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ প্রমীলারা। এখন পর্যন্ত খেলা নিজেদের প্রথম ম্যাচ ব্যতীত বাকি সব ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছেন তারা।
টানা জয়ের মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো এমন আসরের ফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে হারের পর বিস্ময়করভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। পাকিস্তান, ভারত, থাইল্যান্ড ও স্বাগতিক মালয়েশিয়াকে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছেন বাঘিনীরা।
খেলায় প্রথম ইনিংসে শিরোপা ঘরে তোলার মিশনে নেমে বাংলাদেশের নারীদের বোলিংয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুনের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ভারতের প্রথম উইকেটের পতন হয়। ব্যক্তিগত ৭ রানে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার এস. মানধানা।
এরপর হারমানপিত কের (সি) ব্যতীত ভারতীয় প্রমীলাদের আর কেউ বাঘিনীদের বলিং তোপে দাঁড়াতে পারেনি। দলের হয়ে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিটি আসে তার ব্যাট থেকেই। তার ব্যাটের উপর ভর করেই ১১২ রানের লক্ষ্য বেধে দেয় ভারত।
ভারতের দেয়া ১১২ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ওপেনার শামীমা সুলতানা এবং আয়শা রহমান স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান যোগ করে অপরাজিত থাকেন এ ওপেনিং জুটি।
পুনম যাদব ব্রেকথ্রু এনে দেন। ২৩ বলে ১৭ রানে আউট হয় আয়শা রহমান। পরের বলেই আবার আঘাত হানেন পুনম। শামীমা সুলতানাকে ১৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। দলীয় ৫৫ রানে ফারজানা হক পুনমের তৃতীয় শিকারে পরিণত হলে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর নিগার সুলতানার ৩০ রানের উপর ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভারে ৮৫ রান। ৪টি উইকেটই যায় পুনম যাদবের ঝুলিতে।