আর্জেন্টিনা ও জাপান সবথেকে কম পয়েন্ট নিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে। প্রথম পর্বে তিন ম্যাচের তিনটি জিতেছে বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া ও উরুগুয়ে।
৩২ দলের টুর্নামেন্ট নেমে এসেছে ১৬ দলে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই ১৬ দলের বাঁচা-মরার লড়াই। লড়াই বিশ্বকাপে টিকে থাকার। একবার ভুল করলেই শেষ শিরোপার স্বপ্ন। ফিরতে হবে খালি হাতে।
কাজানে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আজ শুরু হবে প্রথম মহারণ। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। পরের ম্যাচ পর্তুগাল ও উরুগুয়ের। দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে রাত ১২টায়। টানা চারদিন হবে শেষ ষোলোর ম্যাচ। এরপর বিরতি দিয়ে শেষ আটের ম্যাচ। এরপর সেমিফাইনাল। সবশেষে ফাইনাল।
চার দল মাঠে নামলেও আজ সবথেকে বেশি নজর থাকবে আর্জেন্টিনার ওপর। আরও ভেঙে বললে লিওনেল মেসির ওপর। এক ড্র, এক পরাজয় এবং এক জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠা দলটি নক আউট পর্বে কেমন করে সেটা দেখার অপেক্ষায় কোটি ফুটবলপ্রেমি। আজ তাদের সামনে ফ্রান্স চ্যালেঞ্জ। যারা প্রথম রাউন্ডে একটি ম্যাচ হারলেও বাকি দুটি ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে।
দুই দলই তারকা সমৃদ্ধ খেলোয়াড়ে ভরপুর। আর্জেন্টিনা দলে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, রোহো, মাসচেরানো রয়েছেন। ফ্রান্স দলে রয়েছেন পল পগবা, অঁতোয়ান গ্রিজম্যান, কিলিয়ান এমবাপেদের মত তারকারা।
দুই দলই ম্যাচে ফেভারিট। তবে অতীত পরিসংখ্যান এগিয়ে রাখছে আর্জেন্টিনাকে। ১১ সাক্ষাতে আর্জেন্টিনাকে মাত্র দুবারই হারাতে পেরেছে ফ্রান্স। ছয়বার জিতেছে আর্জেন্টিনা, বাকি তিনটি ড্র। ২০০৯ সালে শেষ মুখোমুখিতেও ফ্রান্স ২-০ গোলে হারে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। তাইতো মেসিরা এগিয়ে থাকবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি মেসিরা নিজেদের উদ্বুদ্ধ করতে পারেন আরেকটি পরিসংখ্যান মনে করে। ফ্রান্সের সঙ্গে বিশ্বকাপে দুই সাক্ষাতের দুবারই জিতেছে আর্জেন্টিনা এবং প্রতিবারই খেলেছে ফাইনাল।
তবে একটা জায়গায় ফ্রান্স একটু হলেও নির্ভার থাকতে পারে। বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে কোন গোল নেই মেসির। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে গোলের স্বাদ পাওয়া মেসি আরেকবার গোল বঞ্চিত থাকলে তা হবে ফ্রান্সের জন্য বাড়তি পাওয়া।
এদিকে আরেক ম্যাচের উত্তাপও কম নয়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর প্রতিপক্ষ লুইস সুয়ারেজ। বিশ্বকাপে এই প্রথম মুখোমুখি হতে যাচ্ছে উরুগুয়ে ও পর্তুগাল। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অবশ্য দুইবার মুখোমুখি হয়েছে তারা। একবার জিতেছে পর্তুগাল, আরেকটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
পর্তুগালের ভরসা রোনালদো প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে এক গোল করেন। গ্রুপের শেষ ম্যাচে গোল পাননি উল্টো পেনাল্টি মিস করেন। হজম করেন হলুদ কার্ডও। তাইতো সিআর সেভেনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নকআউট পর্বে। তার গোলখরা কাটানো পর্তুগালের জন্য খুব জরুরী।
উরুগুয়েও কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে মরিয়া। তাদের স্বপ্ন লুইস সুয়ারেজকে নিয়ে। সুয়ারেজ তিন ম্যাচে দুটি গোল করেছেন। সামনেও দলকে নেতৃত্ব দিবেন এমনটিই প্রত্যাশা।
মেসি-রোনালদো মাঠে নামায় শুরু থেকেই জমে উঠবে নক আউট পর্ব। শুরুতেই তাই জমজমাট ম্যাচের প্রত্যাশা করতেই পারেন ফুটবলপ্রেমিরা।
রাইজিং বিডি