এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিট দলগুলোর মধ্যে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একমাত্র জয় পেয়েছিল ফ্রান্স। অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে যাত্রা করেছিল দলটি। সেই ধারা বজায় রাখতে মরিয়া ছিলেন ফরাসিরা।পেরুর বিপক্ষে জয় ভিন্ন কিছুই মাথায় নেননি তারা।
সেই যাত্রায় সফল ফ্রান্স। পেরুভিয়ানদের ১-০ গোলে হারিয়েছেনসাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এ জয়ে শেষ ষোলোনিশ্চিত করেছেন তারা। অসাধারণ স্কিলে জয়সূচক গোলটি করেছেন প্রতিশ্রুতিশীল ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে।
১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কাছে হারার পর থেকে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশের কাছে হারেনি ফ্রান্স। এ নিয়ে জিতল ৪ ম্যাচ, ড্র হয় অন্য ৪টি।
একাতেরিনবার্গে সতর্ক শুরু করে ফ্রান্স। সেখানে আক্রমণাত্মক সূচনা করে পেরু। ঘন ঘন আক্রমণে ওঠেন পেরুভিয়ানরা। প্রথমার্ধে ৫৩ শতাংশ বল দখলে রাখেন তারা। মূলত এরই খেসারত গুনতে হয়েছে তাদের।
৩৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল হজম করতে হয় পেরুকে। এসময় নিশানাভেদ করে ফ্রান্সকে লিড এনে দেন এমবাপ্পে। এতে ১-০ ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় ১৯৯৮ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের গতি আরো বাড়ায় পেরু। মুহুর্মুহু আক্রমণে ফ্রান্স রক্ষণভাগে ত্রাস ছড়ায় ল্যাতিন আমেরিকার দলটি। এ অর্ধে ৫৭ শতাংশ বল দখলে রাখে তারা।বেশ কয়েকটি সুবর্ণ সুযোগও পায়। তবে স্বার্থ হাসিল করতে পারেনি। ফলে ভালো খেলেও হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পেরুকে।
এ হারে এক ম্যাচ আগেই বিদায় ঘণ্টা বাজল পেরুর।