নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরেই আটক বানিজ্যের শীর্ষে রয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিহার থানার কতিপয় অসাধু পুলিশ সদস্যরা। এবার এমনি এক মুদি দোকানি’র নিকট চাঁদাদাবি করেন মতিহার থানার এস আই সুনিরাম মুরমু ও এস আই আব্দুর রউফ। টাকা না পেয়ে মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকসহ আটক করে ওই মামলায় পলাতক আসামী করা হয় মুদি দোকানি সুমনকে। এসব অভিযোগ তুলে একটি সাংবাদিক সংগঠনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সুমনের পরিবার।
২৬ মার্চ (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সুমনের বোন সুমাইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) মতিহার থানার এসআই সুনিরাম মুরমু ও এসআই আব্দুল রউফ গত কয়েকদিন থেকে মতিহার থানাধীন মিজানের মোড় নদীর ধার এলাকায় “সুমন স্টোর” নামে একটি মুদিখানার দোকানে গিয়ে মুদি ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার দোকানে টাকা আবদার করতো। তাদেরকে চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পাড়ায় “সুমন স্টোর” এর মালিক সুমন আলীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্যামপুর এলাকার আকবর আলীর মেয়ে ও সুমনের বোন সুমাইয়া আরো বলেন, গত ২৫ মে ২০২৪ ইং তারিখে রাত্রী ১০টা ৫০মিনিটের সময় মতিহার থানা এলাকার তালাইমারী (পাওয়ার হাউজপাড়া) এলাকা থেকে এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকসহ আটক করে মতিহার থানা পুলিশ। সেই মামলায় পলাতক হিসেবে ব্যবসায়ী সুমনকে দেখিয়ে মামলা করেছেন। মামলায় যে সময় উল্লেখ আছে, সে সময়ে সুমন তার দোকানে ছিলো। যার সিসিটিভি ফুটেজ ভুক্তভোগীদের কাছে সংরক্ষিত আছে বলেও জানান তিনি। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের চাওয়া অর্থ দিতে না পারায় আজ ব্যবসায়ী সুমনের নামে এমন মিথ্যা মামলা দিয়েছে ওই পুলিশ সদস্যরা বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
এসময় সুমনের মা বলেন,আপনাদের সংবাদ মাধ্যমে আমার সন্তানের নামে হওয়া মিথ্যা মামলার বিষয়টি প্রকাশ করে আমার সন্তানের নামে হওয়া মিথ্যা মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। আমরা জানি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার একজন ভালো মানুষ। আমি তার কাছে আমার সন্তানের নামে হওয়া মিথ্যা মামলা তদন্ত পূর্বক প্রত্যাহারসহ মতিহার থানার এসআই সুনিরাম মুরমু ও এসআই আব্দুল রউফ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে সুমনের পিতা: আকবর আলী, মাতা: নুরবানু বেগম ও তার ছেলে, মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মতিয়ার থানার এসআই সুনিরাম মুরমুকে ফোন দিলে তিনি থানায় গিয়ে কথা বলার জন্য বলেন এবং ফোনে কোন কথা বলবে না বলে ফোন কেটে দেয়।
এছাড়াও মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো: মোবারক পারভেজ বলেন, তাদের কাছে যদি সে-রকম কোন সিসিটিভি ফুটেজ থাকে তাহলে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত হবে।
উল্লেখ, এস আই সুনিরাম কিছুদিন পূর্বে ডার্সমারি পূর্বপাড়ায় একজনকে গাঁজাসহ আটক করে অর্থের বিনিময়ে ঘটনাস্থলেই ছেড়ে দেন। এছাড়াও ওই এলাকায় প্রতিটি মাদক কারবারি’র নিকট মাসিক মাসোহারা উত্তোলন করেন এস আই সুনিরাম।