নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাধ সংস্কার, নদীতীর সংরক্ষনসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি ও অবহেলার অভিযোগে রাজশাহীতে বিক্ষোভ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রদান প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে পাউবো ঠিকাদার সমিতি। বুধবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রদান প্রকৌশলীর দফতরের সামনে বিক্ষোভের পর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, পাউবো ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন, রাজশাহী চেম্বারের সাবেক পরিচালক মো. জামাত খান, বীর মুক্তিযেদ্ধা বজলুর রহমান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা তপন কুমার সেন, প্রকৗশলী খাজা তারেক, ব্যবসায়ী আলী আজম, অ্যাডভোকেট মঞ্জুর হাসান মিঠু, পাউবো ঠিকাদার আলাউল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, হায়দার আলী লাকী, সেলিম, তোতা, নুরুল হক, সুজা ও লাল মোহাম্মদ প্রমুখ।
পাউবো, রাজশাহীর উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহী জোনের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে চরম অনিয়ম অবহেলা, দূর্নীতি করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কতিপয় প্রকৌশলী ও কর্মকর্তার বাধা ও মনগড়া নিয়ম-কানুনের জন্য দরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অহেতুক সময় অপচয় করা হচ্ছে। ফলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের ওয়ার্ক ওর্ডার পেলেও ঠিকমত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। তারা মারাত্মক জটিলতার মধ্যে পড়েছেন।
ঠিকাদারা নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় অর্থে রাজশাহীতে জোনাল ল্যাব তৈরী করা হয়েছে। কিন্ত সম্প্রতি টাস্কফোর্স কর্তৃক পত্র জারি করা হয়েছে জোনাল ল্যাবে পরীক্ষা না করে বুয়েটে এ পরীক্ষার। এটিকে ঠিকাদাররা অযৌক্তিক বলে মনে করছেন। এছাড়া দরপত্র জমা দেয়ার পরে ক্রেডিট সার্টিফিকেট যাচাই বাছায়ের জন্য ঢাকাস্থ হেড অফিসে পাঠানো হয়। ব্রাঞ্চে না করে ঢাকায় পাঠানোর ফলে সময় অপচয় হয়। এ নিয়ম বাংলাদেশের কোথাও নেই শুধুমাত্র রাজশাহীতে মনগড়া ভাবে করা হয়েছে বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। এসব নিয়ম বাতিলের দাবি জানান ঠিকাদাররা।
এছাড়া টাস্ক ফোর্স সদস্যরা সময়মত ব্লক গননা ও পরীক্ষ নিরীক্ষা না করায় প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে উল্লেখ করে ঠিকাদাররা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ সত্তেও সময়মত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না শুধুমাত্র প্রকৌশলীদের অবহেলা ও গাফিলতির কারনে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে বিনস্ট হচ্ছে বলেন মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী বর্ষার আগেই যাতে সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয় এ জন্য জোর দাবিও জানান ঠিকাদাররা। অন্যথায় ঈদের পরে ঘেরাও ও বিভিন্ন কর্মসূচী দেওয়ার হুশিয়ারি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে বিষয়গুলি সুষ্ঠ সমাধানের জন্য জোর দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপির অনুলিপি, পাউবোর মহাপরিচালক, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও বিভিন্ন দফতরেও পাঠানো হয়।