আভা ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলকও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। যারা এখন সংসদ সদস্য আছেন, তারাই যে মনোনয়ন পাবেন, বিষয়টি তা নয়। অনেকে বাদ পড়বেন।’
বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) সংসদ ভবনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সভাকক্ষে সংসদীয় দলের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠক উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের এমন একাধিক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দলীয় এমপিদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নতুন অনেকে মনোনয়ন পাবেন। আমরা জনপ্রিয়তা দেখে নমিনেশন দেবো। তবে, যাকে নমিনেশন দেবো, তার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে—এমন ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। এতে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সেভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক নারী সংসদ সদস্য তার নিজের এলাকা বা তার জন্য নির্ধারিত নির্বাচনি এলাকায় গিয়ে খবরদারি করেন। এ তথ্য আমার কাছে এসেছে। এ ধরনের খবর আমি আর শুনতে চাই না। কেউ এলাকায় গিয়ে খবরদারি করবেন না।’ তিনি বলেন, ‘অনেক এলাকায় সংসদ সদস্য ও যারা নতুন করে মনোনয়ন চান, তারাও একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এই ধরনের ঘটনা দ্বিতীয়বার শুনতে চাই না। যিনি এমপি তারও এলাকায় গিয়ে কথা বলার অধিকার রয়েছে। যিনি মনোনয়ন চান, তারও সেই অধিকার আছে। পরস্পরের মধ্যে দোষারোপ না করে সবাইকে জনগণের দুয়ারে যেতে হবে। সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ভোট চাইতে হবে। তৃণমূলের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।’
বৈঠকে সংসদ সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান সংসদের মেয়াদ ১০ বছর করার প্রস্তাব করলে প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করে দেন। বৈঠকে একজন নারী সংসদ সদস্য সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির ক্রেডিট ডিসি/এসপিরা নেয় বলে অভিযোগ করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাতে কোনও অসুবিধা নেই। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে তাদেরও তো অংশ গ্রহণ রয়েছে।’
বাংলা নিউজ