নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। বিক্ষোভ মিছিল, আলোচনা সভা, অনশন কর্মসূচি, স্মারক লিপিসহ নানা কর্মসুচি ছিল এর মধ্যে। গত ১৪ জুন বিএনপি চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ঘোষণা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি না দেয়া হলে কালো ব্যাজ ধারণ করে ঈদগাহে জামাত আদায় করবে রাজশাহী বিএনপি। তবে সে ঘোষণার পালন তিনি নিজেই করেননি। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে অনেকেরই।
আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী শাহ মখদুম রুপোশ(র:) ঈদগাহ ময়দানে। শনিবার সকাল আটটায় এখানে নামাজ আদায় করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ওয়ার্কাস পাটির সাধারণ সম্পাদক সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, নগর বিএনপি সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিভাগীয় কমিশনার নুর উর রহমান, জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। সেখানে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু উপস্থিত থাকলেও তিনি কালোব্যাজ না পড়েই চলে যান ঈদগাহে। সেখানে নগর বিএনপি সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল কালোব্যাজ ধারণ করলেও মিনু তার ব্যাজটি খুলে ফেলতে বলেন। বিষয়টি সবার নজরে আসে।
যুবদল নেতা সুমন
এদিকে মিজানুর রহমান মিনুর ঘোষণার প্রতিফলন দেখা যায় বিএনপির অঙ্গসংগঠন গুলোর নেতাকর্মীদের মাঝে। নেতাকর্মীদের অনেকেই আসেন কালোব্যাজ ধারণ করে। যুবদল ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের অনেক নেতাকর্মীই কালোব্যাজ পড়ে ঈদগাহে উপস্থিত হন। তবে ঘোষণা দেওয়ার পরে তিনিই কেন কালোব্যাজ পড়লেন না তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। ওই ঈদগাহে উপস্থিত জেলা যুবদলের নেতা মোদাজ্জেদী জামান সুমনসহ অন্যান্য নেতাকর্দেমীদেরও দেখা যায় কালোব্যাজ পড়ে ঈদের জামাত আদায় করতে ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বলেন, কে পড়লো না পড়লো তা দেখার বিষয় ছিল না। তবে ঘোষণা দিয়েও তিনি নিজে কেন কালোব্যাজ পড়লেন না সেটিই এখন দেখার বিষয়।
আবার অনেকে সমালোচনা করে বলেন, সাংগঠনিক পদে কোন নেতা ঘোষণা দিলে তা অবশ্য করণীয় হয়ে দাড়ায়। কিন্ত সেটা পালন না করলে সংগঠনকে হেয় করা হয়। নেতাদের উচিৎ এই বিষয়গুলোকে মাথায় নিয়ে কাজ করা।