নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুরো গাছ জুড়ে প্রচুর আম। ছোট হলেও পুরো গাছে প্রায় মণ তিনেক আম রয়েছে। তবে বেশির ভাগ আমেই ‘স্ক্যাব (দাদ রোগ)’ এ রোগে আক্রান্ত। ফলে আম বিক্রি নিয়ে অনেকটাই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
তবে আবহাওয়াগত কারণে এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট। বুধবার সকালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যালয় (রুয়েট) এর ভেতরে একটি আমের গাছে এমন রোগ দেখা দিয়েছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জিএম মোরশেদুল বারী ডলার বলেন, আবাহাওয়াগত কারণে এটা হচ্ছে। সালফার ও কপারের অভাবে হলে এই রোগ হয়।
তিনি বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে কিছু আমে স্ক্যাব রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গত কয়েকদনি আগে দুই ব্যক্তি একই রোগে আক্রান্ত চারটি আম নিয়ে এসেছিলেন। রাজশাহীর মানুষ আম গাছে সার ও পানি কম দেয়। তা্ই আম গাছের পরিচর্যা ঠিক মতো করতে হবে।
রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, রোগ দেখা দেয়ার আগে ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিতে হবে। পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করতে হবে। নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করতে হবে।
তারা আরো বলছে, সময়মত গাছ ও বাগান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, গাছের নিচে ঝড়ে পড়া পাতা, মুকুল বা আমের গুটি অপসারণ করা, কার্বেন্ডাজিম বা ম্যানকোজেব দুই গ্রাম লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর তিন থেকে চার বার স্প্রে করতে হবে।
বাগান মালিক মালিক বলেন, এটি গুটি জাতের আম। গত কয়েক বছর ধরে এই গাছটির আমে রঙ এমন হয়ে যায়। কিটনাশক স্প্রে করেও কোন কাজ হয়নি। তবে আমের ভেতরটা নষ্ট না হলেও মানুষ রঙ দেখে কিনতে চায় না।