এতদিন নায়িকার সোশ্যাল মিডিয়ার ফিটনেসের ছবিতেই মজে থাকত তাঁর ভক্তরা৷ জিমের একের পর এক ভিডিও, যোগাসনের ছবি সবের নিয়মিত আপডেট দিয়ে থাকেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
অধিকাংশ নায়িকাই নিজের ফিটনেসের কিংবা ডায়েটের রহস্য প্রকাশ্যে আনতে চান না৷ তবে সায়ন্তিকা কিন্তু একেবারেই সেসব অভিনেত্রীদের তালিকায় পড়েন না৷ তিনি নিজের প্রত্যেকটি ওয়ার্ক আউটের ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন৷ তাঁর মোটিভও অবশ্য একটাই৷ তাঁকে দেখে যাতে বাকিরাও সুস্থ থাকার প্রস্তুতি নেয়৷
পরিমাণমত খাবার খেয়ে, এক্সারসাইজ করে যাতে তাঁর ফ্যানেরাও শরীর সুস্থ রাখে সেটাই চান তিনি৷ আজ বিশ্ব যোগা দিবসেও তিনি যোগাসন করার ছবি পোস্ট করেছেন৷
তবে তাঁর এই পোস্টগুলিতে একেবারেই কারও মন নেই এখন৷ ভক্তকূলের চোখ আটকেছে তাঁর পোস্ট করা অন্যান্য ছবিতে৷ সায়ন্তিকার সঙ্গে এক পুরুষের ছবি দেখে দিওয়ানা হয়ে গিয়েছে নেটিজেন৷ অন্য কোনও পুরুষ তিনি নন৷
সায়ন্তিকার বাবা হলেন সেই ব্যক্তি৷ যাঁকে দেখলে বয়স আন্দাজ করতে গিয়ে হিমসিম খাবেন আপনিও৷ ফাদার্স ডে তে বাবার সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছিলেন নায়িকা৷ এর পর থেকেই সরগরম গোটা টলিপাড়া৷ ছবির পোস্ট করার নিমেষে একই প্রশ্ন ধেয়ে এল কমেন্টবক্সে৷ ‘একি! আমি তো ভাবলাম ইনি তোমার দাদা!’, ‘ক্যাপশনে ফাদার্স ডে লেখা না থাকলে, বিশ্বাসই হত না যে ইনি তোমার বাবা৷’
একই প্রশ্নে ভরে চলেছে কমেন্ট সেকশন৷ সাইবারবাসীদের একটাই প্রশ্ন কীকরে সায়ন্তিকার বাবা এত হট হতে পারে৷ অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে তাঁর বয়স তো কম করে পঞ্চাশের বেশি হওয়া উচিত তাহলে এভাবে নিজের বয়স কীকরে ধরে রেখেছেন৷
কিছু নেটিজেনরা আবার প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘বাবা এতো ফিট বলেই মেয়ে ফিট৷’, ‘সায়ান্তিকার ফিটনেস ফ্রিক হওয়ার কারণ যে তাঁর বাবা, এবার বোঝা যাচ্ছে৷’ একটি ছবিতে তাঁর বাবার হাতে ট্যাটু দেখা যাচ্ছে৷ সেই নিয়েও শুরু হয়েছে নানা কথা৷ নেটিজেনরা সায়ন্তিকার বাবাকে ‘কুল ড্যাড’ বলে নাম দিয়ে ফেলেছেন৷ সায়ন্তিকার বাবাকে দেখে ইতিমধ্যেই ফ্ল্যাট অসংখ্য যুবতী৷
ছবির ভালো দিকটায় তো আপনাদের আলোকপাত করলাম এবার খারাপ দিকটায় আসা যাক৷ প্রতিটি ছবিতেই মেকআপ ছাড়া দেখা গিয়েছে সায়ন্তিকাকে৷ তাতে তাঁর ত্বকের খুঁতগুলো সকলের সামনে ধরা পড়েছে৷ সেই নিয়েই শুরু হয়েছে ট্রোলিং, বিতর্ক৷ তাঁর স্কিন নিয়ে নায়িকাকে কটাক্ষ করেছেন বহু মানুষেরা৷ কেউ কেউ বলেছেন, ‘কী খারাপ স্কিন তোমার’, ‘ট্রিটমেন্ট করাও, মুখে এতো দাগ ভালো না৷’ তবে অনেকে এও লিখেছেন যে, ‘তুমি খুব সাহসী৷ পিম্পলের দাগগুলোকে যে তুমি লুকাওনি, সেটা গর্বের বিষয়৷’ কলকাতা 24