চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে/গুলি/ক্রসফায়ার/বন্দুকযুদ্ধে ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪ মে থেকে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে নিহত হয়েছে ১৭৬ জন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আসকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জানুয়ারি-জুন এই ছয় মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪২৭ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৭ নারীকে। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে চারজন। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে ৫৭ নারীর ওপর।
আসক বলছে, ৪ মে র্যাব দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে। আর ১৫ মে মাদক নির্মূলে হার্ডলাইনে যায়। এই অভিযানে ১৫ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭৬ জনের। র্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ ৬৬, পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ ১৪১, ডিবি পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ ৩১, নৌ-পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ ১, পুলিশের নির্যাতনে ৩, ডিবি পুলিশের নির্যাতনে ২, পুলিশের গুলিতে ৩, ডিবি পুলিশের গুলিতে ৩ জন নিহত হয়। থানাহাজতে অ্যাÍহত্যা করেছে ১ জন, গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ১৮ জনের। এছাড়া পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে ৫ এবং র্যাব হেফাজতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আসক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ছয় মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৫০ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২২ জন এবং হাজতি ২৮ জন। এ সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১৪৫টি। এতে নিহত হয়েছে ১৬ এবং আহত হয়েছে ১৯৯৮ জন।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এছাড়া আওয়ামী লীগ-যুবলীগ, ছাত্রলীগ-ছাত্রলীগ, বিএনপি-বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল-স্বেচ্ছাসেবক দল এবং যুবদল-যুবদল সংঘাতে একজন করে মারা গেছে। গত ছয় মাসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ৫৮ নারী। এর মধ্যে যৌন হয়রানির কারণে ৩ জন আত্মহত্যা করেছে। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৪ পুরুষ নিহত হয়েছে।
এছাড়া হয়রানি ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে ৬৯ নারী-পুরুষ। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪২৭ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৭ নারীকে। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৩ নারী।
যুগান্তর