ভোরের আভা ডেস্ক: তখন সন্ধ্যা সাত হবে। দর্শনা রেল স্টেশনে দর্শনা রেলস্টেশন পৌছায় সাগরদাঁড়ি ট্রেন। ছয় বন্ধু ইন্ডিয়া থেকে দর্শনা হয়ে রাজশাহী আসছিল। ট্রেনের মধ্যে কয়েকজন দালাল উঠে। তাদের ছয় বন্ধুকে বলে, আপনারা আমাদের টাকা দেন। নিরাপদে রাজশাহীতে যেতে পারবেন এমন কথা বলে বসে তারা।
এসময় তারা টাকা দিতে নারাজি প্রকাশ করে। পরে পোড়াদহ থানা পুলিশ, সাগরদাড়ি ট্রেনের জিআরপি ও দালালরা হয়রানি করে। এছাড়া রেলের পুলিশ সঙ্গে দালালরা আত্তাত করে বিভিন্ন হয়রানিমূল কাজ করছে। এছাড়া যারা ইন্ডিয়াতে চিকিৎসা করতে যায় তারে আরো বেশি হয়রানি করা হয়। দালালরা সাধারণ মানুষকে ধরে তিন থেকে চার হাজার টাকা দাবি করে। আবার বলে আপনাদের কাছে অবৈধ মালামাল আছে পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে দেব। টাকা না দিলে।
কেউ টাকা না দিলে তারা আগের স্টেশনের থাকায় ফোন দিয়ে ওই যাত্রীর সিট নম্বর ও বিবরণ বলে দেয়। তখন জিআরপি পুলিশ ও থানা পুলিশ এসে তাকে তল্লাশি করে। তথন কিছু না পেলেও তাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়। আর অন্য যাত্রীদের বলে এদের কাছে অবৈধ মালামাল আছে তাই ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো। এমন কথা বলে জিরপি পুলিশ। সাধারণ মানুষ এর থকে রক্ষা পেতে চাই।
গতকাল রোববার এই ঘটনার পরে মহিউদ্দিন রনি নামের রাজশাহীর এক ব্যক্তি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই কথাগুলো পোস্ট করেন। এবং তিনি এই পথের যাত্রীদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। এছাড়া অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শস্তির দাবি করেন।
মহিউদ্দিন রনি লেখেছেন, ‘আমরা ৬ বন্ধু ইন্ডিয়া থেকে দর্শনা হয়ে রাজশাহী আসছিলাম। দর্শনা বর্ডারে বি এস এফ ও কাস্টমস এবং বর্ডার গার্ড সবকিছু ভালভাবে পার হয়ে আসার পর আমারা দর্শনা রেলস্টেশন পৌছায় সাগরদাঁড়ি ৬.৫০ মিনিটে ট্রেন ধরার জন্য।
বিকাল আনুমানিক ৬ টার দিকে কিছু যুবক সম্ভবত দালাল আমাদের কাছে এসে আনুষঙ্গিক কথা বলতে থাকে যেমন ব্যাগ এর মধ্যে কি আছে,ইন্ডিয়া থেকে কি কিনেছেন।তারপর তারা কিছু টাকা দাবি করে।আরো বলে আমাদেরকে টাকা দিলে আপনাদের কিছু হবে না।কেও কোনরকম চেকিং করবে না। যেহুত আমারা ৬ জন ছিলাম তাই তারা আমাদের উপর চেপে বসতে পারিনি।
আমরা তাদের(দালালদের) টাকা না দিয়েই ট্রেনে উঠে পরি।ট্রেনটি ছেরে দেয় এবং যাএা শুরু হয়।পোড়াদহ রেলস্টেশন এ পৌছানোর পর ট্রেনটি পোড়াদহ রেলস্টেশন থেকে ছেরে যাওয়ার সময় হুট করে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ এবং দর্শনা রেলস্টেশন এর ঐ দালালগুলো আমাদেরকে ব্যাগসহ জোড়পুর্বক টেনেহিচরে ট্রেন থেকে নামানো শুরু করে।তারা বলে তাদের কাছে নাকি কি ইনফরমেশান আছে। এর মধ্যে আমাদের এভাবে নামানো দেখে সৌভাগ্যবশত ট্রেন এর পূর্বপরিচিত এক যাএী ট্রেন এর শিকল টেনে ধরে এবং ট্রেনটি থেমে যায়।
ট্রেনটি থামার ফলে সৌভাগ্যবশত আমাদেরকে সাহায্য করার জন্য পূর্বপরিচিত কিছু যাএী ট্রেন থেকে নিচে নেমে আসে এবং তারা ও আমরা পুলিশ ও দালালদের সাথে নানারকম তর্ক-বির্তকে জরিয়ে পরি।ট্রেনটি থামার কারনে পুলিশ এবং দালালগুলো কিছুটা হতাশ হয় এবং পুলিশগুলো অতিদ্রুত লোকদেখানো ব্যাগ সার্চ করে এবং আমাদেরকে ছেরে দেয়।
এখন আমার প্রশ্ম (প্রশ্ন) সরকারের কাছেঃ
পুলিশগুলো কেন আমাদেরকে ট্রেন থেকে এভাবে জোরপূর্বক টেনেহিচরে নামালো।যদি তাদের আমাদের ব্যাগ সার্চ করতেই হত তাহলে তারা ট্রেন এর মধ্যে করতে পারত পরবর্তীতে তারা আপওিকর কিছু পেলে আমাদেরকে ট্রেন থেকে নামিয়ে নিয়ে যেত।
আমারা যেহুত এসি বগিতে ছিলাম সুতরাং সে সময় জি আর পি পুলিশ কোথাই ছিল। সবচেয়ে মূলকথা পুলিশগুলোর সাথে ঐ দালালগুলো কি করছিল। এখন বুজতেই পারছেন ট্রেন এর শিকলটি না টানা হলে আজ আমাদের সাথে কি ঘটতো।
সতর্কবার্তাঃ
যারা ইন্ডিয়া থেকে দর্শনা হয়ে বাংলাদেশে আসেন তারা দালাল, পোড়াদহ রেলস্টেশন এর কিছু অসৎ পুলিশদের এবং কিছু অসৎ জিআরপি পুলিশ হতে সাবধান থাকবেন।
আপনার অথবা আপনার চারিপাশে এইরকম কিছু ঘটতে দেখলে অবশ্যই ট্রেন এর শিকল টানবেন, চিল্লাচিল্লি করে লোকজন একএিত করবেন এবং পারলে অবশ্যই ভিডিও করবেন।
মহিউদ্দিন রনি মুঠোফোনে সিল্কসিটিনিউজকে জানায়, ‘এই ধরনে ঘটনা সব সময় ঘটে ট্রেনে। রেলের বড় কর্মকর্তারা এদিয়ে নজর দেয়না। এছাড়া জিআরপি পুলিশের সহযোগিতায় এ ধরণের হয়রানিমূলক কাজ গুলো হয়ে থাকে। এর থেকে আমরা সাধারণ যাত্রীরা রক্ষা পেতে চাই। এ সকল হয়রানিগুলো বন্ধে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।’
দেখুন সেই ভিডওটি এখানে…
https://www.facebook.com/ictcup/videos/1816464681725232/