বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেও মনে রাখার মতো হয়নি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের৷ সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র দিয়ে রাশিয়ায় অভিযান শুরু করেছে সাম্বা বাহিনী৷ কোস্টারিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচটা তাই মহা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ব্রাজিলের কাছে৷ আগাগোড়া আধিপত্য রেখে লড়াই চালালেও সমর্থকদের গদগদ হওয়ার মতো ফুটবল উপহার দিতে ব্যর্থ নেইমাররা৷
আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও নির্ধারিত ৯০ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ ব্রাজিল৷ ইনজুরি টাইমে ফিলিপ কুটিনহো পরিত্রাতা হয়ে না দাঁড়ালে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের সম্ভাবনা প্রকট হয়ে উঠত ব্রাজিলের৷ কুটিনহো রাস্তা দেখানোর পরেই ছ’গজের বক্স থেকে দুরন্ত গোল করেন নেইমার৷ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সমর্থকদের শঙ্কায় রেখে শেষমেশ ব্রাজিল ২-০ গোলে পরাজিত করে কোস্টারিকাকে৷
কোস্টারিকার বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে ব্রাজিলের একাধিপত্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই৷ গত দশবারের মধ্যে ন’বার ম্যাচের ফল গিয়েছে ব্রাজিলের অনুকূলে৷ শেষবার কোস্টারিকার কাছে তারা হার মেনেছিল ১৯৬০ সালে প্রীতি ম্যচে৷
দানিলো চোট পাওয়ায় ব্রাজিলের প্রথম একাদশে বদল অবসম্ভাব্য ছিল৷ রাইট ব্যাকে তাঁর পরিবর্তে ফ্যাগনারকে মাঠে নামান তিতে৷ নেইমার ফিট হয়ে ওঠায়, তাঁকে রিজার্ভ বেঞ্চে রাখার প্রয়োজন মনে করেননি ব্রাজিলিয়ান কোচ৷ কোস্টারিকাও সার্বিয়া ম্যাচের প্রথম একাদশে একটি বদল করে৷ কালভোর জায়গা ওভেইদো মাঠে নামেন৷
শেষ ১৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অপরাজিত থেকে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামলেও বিশ্বকাপে শেষ তিনটি ম্যাচে জয়হীন তারা৷ ১৯৭৮ সালের পর থেকে এমন খারাপ সময় আসেনি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে৷ ঘরের মাঠে জার্মানির কাছে ১-৭ গোলের বিভীষিকা ছাড়াও তৃতীয় স্থান নির্নায়ক ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ০-৩ গোলে পরাজিত হয়েছিল তারা৷ এবার শুরুতেই সুইসদের বিরুদ্ধে ড্র৷
সুতরাং প্রবল চাপ নিয়েই কোস্টারিকার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে ব্রাজিলিয়ান দল৷ প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছিল দু’দলই৷ বলাবাহুল্য ব্রাজিলের আক্রমণের তীব্রতাই ছিল বেশি৷ যদিও কোনও দলই প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারেনি৷ ২৬ মিনিটের মাথায় জেসুস নাভাসকে টেক্কা দিলেও অফসাইডের জন্য বাতিল হয় গোল৷ এক্ষেত্রে গতিবিধি বুঝে নাভাস আগে থেকেই পাত্তা দেননি জেসুসের আক্রমণকে৷