আভা ডেস্ক:জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, করপোরেট কর কমার সুবিধা ব্যাংক খাত সৌভাগ্যবশত পেয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রীর ইচ্ছা ছিল, এবার করপোরেট কর কমানো হবে। কিন্তু ঢালাওভাবে করপোরেট কর কমালে অনেক রাজস্ব ক্ষতি হয়। মোবাইল ফোন অপারেটর ও তামাক খাতের কোম্পানিগুলো ছাড়া ব্যাংকের করপোরেট কর হার সবচেয়ে বেশি। তাই ব্যাংকের করপোরেট কর হার কমানো হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ব্যাংকের করপোরেট কর কমানোর পেছনে আরেকটি কারণ ছিল-সুদের হার কমানোর জন্য চাপ দিতে পারব। যদিও সরাসরি তা দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত (আলটিমেটলি) সুদের হার কমানোর কথা বলা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলের মেট্রো চেম্বার ভবনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর ও কেপিএমজি’র জ্যেষ্ঠ অংশীদার আদিব এইচ খান। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী ও গবেষকেরা বক্তব্য রাখেন।
আহসান এইচ মনসুর তাঁর প্রবন্ধে সুপারিশ করেন যে, যেসব ব্যাংক ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনবে, এমন ব্যাংকের ক্ষেত্রে বাজেটে প্রস্তাবিত করপোরেট কর আরোপ করা উচিত।
উল্লেখ্য, আগামী অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের করপোরেট কর হার ৪০ থেকে সাড়ে ৩৭ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন ব্যাংকের করপোরেট কর হার সাড়ে ৪২ থেকে ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। করপোরেট কর হারের ক্ষেত্রে এই বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
অন্যদিকে এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনার জন্য তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি অন্য খাতকে কর সুবিধা দেওয়া উচিত।
আদিব এইচ খান তাঁর মূল প্রবন্ধে এবারের বাজেটের অর্থবিলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার করার সুপারিশ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাঈদী সাত্তার, শিল্পগোষ্ঠী এসিআইয়ের চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলা, সাবেক বাণিজ্যসচিব সোহেল আহমেদ চৌধুরী, এমসিসিআইয়ের কর সংক্রান্ত উপকমিটির সদস্য সাইদ আহমেদ খান প্রমুখ।
উৎস
প্রথম অালো