ava desk online :প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৪৩ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার ইতিহাস গড়েন টাইগাররা।
বুধবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। সময়ের ব্যবধানে উইকেট পড়ে যাওয়ায় ১৮.৪ ওভারে ৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় সাকিব বাহিনী।
২০০০ সালে টেস্ট খেলার মর্যাদা পাওয়ার পর এই প্রথম ৫০ রানের নিচে অলআউট হতে হলো বাংলাদেশ দলকে।
এর আগে ২০০৭ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬২ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা।
সবচেয়ে কম বল খেলে একটা ইনিংসে সবাই আউট হওয়ার বিশ্বরেকর্ডও আর একটু হলেই তাদের দখলে চলে আসত, মাত্র এক বল বেশি খেলে তারা সেই লজ্জা থেকে রক্ষা পেয়েছে।
টাইগারদের এমন বাজে পারফরম্যান্সের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ রকম লজ্জায় শোকে মুহ্যমান বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। এছাড়া শোকের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে হাসিঠাট্টা, মশকরা আর ব্যঙ্গ-বিদ্রূপেরও ঝড়।
ফেসবুকে পোস্টে এস এম আমিনুল রুবেল নামে একজন লেখেন, ‘ওদের বদলে মেয়েদের পাঠালেও ইজ্জত বাঁচত’।
গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন আবার ছড়া কেটেছেন ‘বাংলাদেশের নতুন কোচ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেমার রোচ!’
কেমার রোচের খুনে বোলিংয়েই ধ্বসে পড়েছিল বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের টপঅর্ডার। আর সেই শোকগাথার একটা নামকরণও করেছেন তিনি : ‘এ কেমন ইতিহাস ৪৩/১০’!!
এ বিষয়ে আরিক আনাম খান নামে একজন লেখেন, ‘ভাগ্যিস বিশ্বকাপ চলছে, তাই বাংলাদেশের এই টেস্টের কথা কেউ মনেই রাখবে না!’
তিনি আরও লেখেন, ফুটবলের এই সিজনে বাংলাদেশ বোধহয় ভেবেছিল এই ম্যাচটাও ৯০ মিনিটের, তাই পুরো ৯০ মিনিট তারা ব্যাটিং করেছে।
উরুগুয়ে বনাম ফ্রান্সের কোয়ার্টার ফাইনাল দেখার সুযোগ কোনোভাবেই হাতছাড়া না হয়, সে জন্যই নাকি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মরিয়া ছিলেন বলে ফেসবুকে ব্যঙ্গ মন্তব্য করেন জনি হক নামে একজন।
ফেসবুকে সুমন সাহা নামে আর একজন আবার ক্রিকেটারদের সাবধান করে দিয়ে লিখেছেন, ‘হারলেও বাংলাদেশ, জিতলেও বাংলাদেশ। খেলায় মন দেন খেলোয়াড়রা। খেলায় হারলে ভোটেও হারবেন!’
‘অপরাধী গেয়ে হিট করানোর লোক যে অনেক আছে’, সেটাও তিনি তাদের মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি।
তবে এই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও কিছুটা সান্ত্বনার আলো খুঁজে পাচ্ছেন জেরিন হোসেন।
তিনি নিজের ওয়ালে পোস্ট করেছেন, বাংলাদেশের সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোর যেখানে ৪৩ (বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৮), সেখানে ভারতের সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোর ৪২ (বনাম ইংল্যান্ড, ১৯৭৪)।