আইসল্যান্ড, নাইজেরিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া— গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত ষোলোয় আর্জেন্টিনা। সমর্থকদের হার্টথ্রব বাড়িয়ে অন্তিম মুহূর্তে জয়। বহু কষ্টে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়েছে মেসির দেশ। এবার সামনে ফ্রান্স।
পোগবা, ভারানে, গ্রিজম্যানদের শক্তিশালী ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কী হবে! লিওনেল মেসি প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগেই বলে দিলেন, ‘‘ফ্রান্সের প্রতিটি ম্যাচই আমরা দেখেছি। সাধারণত বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচই আমরা ফলো করে চলছি। স্কিলফুল ফুটবলারে বোঝাই দুর্ধর্ষ একটা দল।’’
ক্রোয়েশিয়া কিংবা আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে তেকাঠিতে বল রাখতে পারেননি ম্যাজিশিয়ান। তবে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচেই চলতি বিশ্বকাপের প্রথম গোল পেয়েছেন মেসি। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নামার আগে চরম সতর্ক তিনি। সাংবাদিকদের বলে দিয়েছেন, ‘‘দ্রুত গতির ফ্রান্স ফুটবলাররা যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। তবে আমাদের করণীয় কী, সেই সম্বন্ধেও আমাদের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। কোনও সন্দেহ নেই, ফ্রান্সের বিরুদ্ধে লড়াই ভীষণই কঠিন হতে চলেছে।’’
শনিবারেই দিঁদিয়ের দেশঁ-র দলের বিপক্ষে নামবে নীল সাদা জার্সির ফুটবলাররা। নিজেদের গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া ও পেরুকে হারানোর পরে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে ড্র করেছেন ‘লে ব্লুজ’-রা। এবারে তাঁদের সামনেও মেসি-ধাঁধা সামলানোর চ্যালেঞ্জ। তারকা খচিত দল নিয়ে খেলতে এলেও ফ্রান্সের কোচের প্রধান সমস্যা দলের অনেকেই নিজেদের সুনাম অনুযায়ী খেলতে পারছেন না।
ম্যাচের আগে সেই খবরে নিশ্চয়ই খুশি মেসিরা।