গতকাল বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচটা যারা দেখেছেন, তারা অনেকেই স্বীকার করবেন, ম্যাচটা খুব একটা দৃষ্টিসুখকর ছিল না। তাতে অবশ্য ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমের বয়েই গেছে! ম্যাড়মেড়ে ম্যাচ খেলেই যদি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা যায় তাহলে দৃষ্টিসুখকর ম্যাচ খেলে হারার কোনো অর্থ হয় না! ইতিহাস তো ম্যাচের ফলটাকেই মনে রাখে!
উদ্ভাবনী কৌশলে ব্রাজিলকে হারিয়ে উড়তে থাকা বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্টিনেজকে গতকাল দেশমই নামিয়ে এনেছেন মাটিতে। পুরো টুর্নামেন্টে ফর্মে থাকা লুকাকু এদিন আটকে থাকলেন পাভার-উমতিতির হাতে, জাপানের বিপক্ষে গোল করা ফেলাইনিও বুঝিয়ে দিলেন তাঁকে দিয়ে প্রতিদিন গোল করানো যাবে না। নিষ্প্রভ থাকলেন কেভিন ডি ব্রুইনাও। এক এডেন হ্যাজার্ডই দলকে একা টানার চেষ্টা করে গেলেন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ। উমতিতির হেডে ফাইনালে জায়গা পাকা করে নিল ফরাসিরা। আর এই ম্যাচে কৌশলের লড়াইয়ে হেরে গেল বেলজিয়াম।
বেলজিয়ামের এই দলের খেলোয়াড়দের বলা হয় ‘সোনালি প্রজন্ম’। বলা হয়, প্রতিটি পজিশনেই বিশ্বমানের খেলোয়াড় রয়েছে তাদের। হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইনা, দেম্বেলে, কর্তোয়া, ভার্তোনে, অল্ডারভেইরেল্ড, কম্পানি, লুকাকু, মার্তেন্স, ফেলাইনি, ভারমায়েলেন, উইটসেল, তিয়েলেমান্স, মিউনিয়ের, কারাসকো, চ্যাডলি—দুর্দান্ত কিছু ফুটবলারের হাট বসেছে যেন বেলজিয়াম দলে। কিন্তু সব জায়গায় ভালো খেলোয়াড় থাকলেও বেলজিয়ামের এই সোনালি প্রজন্মের সবচেয়ে বড় খুঁত হল কোন জাতের লেফটব্যাক না থাকা। এমনকি গত বিশ্বকাপেও দলে কোন জাত রাইটব্যাক ও লেফটব্যাক ছিলনা বেলজিয়ামের। গত বিশ্বকাপের পর রাইটব্যাক হিসেবে পিএসজির থমাস মিউনিয়েরের উত্থান হলেও ডিফেন্সের বামদিকটা সামলানোর জন্য কোন ভালো লেফটব্যাকই ছিল না বেলজিয়ামের। এই কারণেই কোচ রবার্তো মার্টিনেজ চারজনের ডিফেন্স না খেলিয়ে সব সময় তিনজনের ডিফেন্সে ভরসা করেছেন। লেফট উইঙ্গার হিসেবে নাম কামানো ইয়ানিক-ফেরেইরা কারাসকো বা নাসের চ্যাডলিকে কাজ চালানো লেফট উইংব্যাক হিসেবে খেলিয়ে গেছেন। এই ৩-৪-৩ বা ৩-৫-২ ছকে কাজ চালানো লেফট উইংব্যাক নিয়ে ছোট দলগুলির সঙ্গে অনায়াসে জেতা গেলেও শক্তিশালী দলগুলোকে হারাতে বেশ বেগ পাওয়ারই কথা ছিল। হয়েছে সেটিই। এভাবে তারা হেরেছে ফ্রান্সের বিপক্ষে গতকাল। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছিল টমাস মুনিয়েরের নিষেধাজ্ঞা কোয়ার্টার ফাইনালের মধ্যেই দুটি হলুদ কার্ড খেয়ে খেলতে পারেননি মুনিয়ের। কাল ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিতে দলের ‘সবেধন নীলমণি’ উইং ব্যাকের না থাকাটা চোখে পড়েছে বাজেভাবেই।
মুনিয়েরের জায়গায় খেলেছেন দেম্বেলে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে আজীবন খেলা দেম্বেলের পক্ষে এই জায়গায় খেলাটা সহজ কিছু ছিল না। আর এই ব্যাপারটা জেনেই মার্টিনেজের বেলজিয়ামকে আক্রমণ করে গেছে দেশমের ফ্রান্স। দেম্বেলের হিটম্যাপ দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন, রাইট উইংব্যাক হিসেবে তাকে খেলতে বলা হলেও তিনি বারবারই মাঝমাঠে চলে আসছিলেন। সেটা হয়তো ইচ্ছে করে নয়, কিন্তু তিনি যেহেতু ওই জায়গার খেলোয়াড়, তাই প্রবণতা থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। তবে তাঁর এই ব্যাপারটিতে ভুগেছে বেলজিয়াম।
গতকাল বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচটা যারা দেখেছেন, তারা অনেকেই স্বীকার করবেন, ম্যাচটা খুব একটা দৃষ্টিসুখকর ছিল না। তাতে অবশ্য ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমের বয়েই গেছে! ম্যাড়মেড়ে ম্যাচ খেলেই যদি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা যায় তাহলে দৃষ্টিসুখকর ম্যাচ খেলে হারার কোনো অর্থ হয় না! ইতিহাস তো ম্যাচের ফলটাকেই মনে রাখে!
উদ্ভাবনী কৌশলে ব্রাজিলকে হারিয়ে উড়তে থাকা বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্টিনেজকে গতকাল দেশমই নামিয়ে এনেছেন মাটিতে। পুরো টুর্নামেন্টে ফর্মে থাকা লুকাকু এদিন আটকে থাকলেন পাভার-উমতিতির হাতে, জাপানের বিপক্ষে গোল করা ফেলাইনিও বুঝিয়ে দিলেন তাঁকে দিয়ে প্রতিদিন গোল করানো যাবে না। নিষ্প্রভ থাকলেন কেভিন ডি ব্রুইনাও। এক এডেন হ্যাজার্ডই দলকে একা টানার চেষ্টা করে গেলেন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ। উমতিতির হেডে ফাইনালে জায়গা পাকা করে নিল ফরাসিরা। আর এই ম্যাচে কৌশলের লড়াইয়ে হেরে গেল বেলজিয়াম।
বেলজিয়ামের এই দলের খেলোয়াড়দের বলা হয় ‘সোনালি প্রজন্ম’। বলা হয়, প্রতিটি পজিশনেই বিশ্বমানের খেলোয়াড় রয়েছে তাদের। হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইনা, দেম্বেলে, কর্তোয়া, ভার্তোনে, অল্ডারভেইরেল্ড, কম্পানি, লুকাকু, মার্তেন্স, ফেলাইনি, ভারমায়েলেন, উইটসেল, তিয়েলেমান্স, মিউনিয়ের, কারাসকো, চ্যাডলি—দুর্দান্ত কিছু ফুটবলারের হাট বসেছে যেন বেলজিয়াম দলে। কিন্তু সব জায়গায় ভালো খেলোয়াড় থাকলেও বেলজিয়ামের এই সোনালি প্রজন্মের সবচেয়ে বড় খুঁত হল কোন জাতের লেফটব্যাক না থাকা। এমনকি গত বিশ্বকাপেও দলে কোন জাত রাইটব্যাক ও লেফটব্যাক ছিলনা বেলজিয়ামের। গত বিশ্বকাপের পর রাইটব্যাক হিসেবে পিএসজির থমাস মিউনিয়েরের উত্থান হলেও ডিফেন্সের বামদিকটা সামলানোর জন্য কোন ভালো লেফটব্যাকই ছিল না বেলজিয়ামের। এই কারণেই কোচ রবার্তো মার্টিনেজ চারজনের ডিফেন্স না খেলিয়ে সব সময় তিনজনের ডিফেন্সে ভরসা করেছেন। লেফট উইঙ্গার হিসেবে নাম কামানো ইয়ানিক-ফেরেইরা কারাসকো বা নাসের চ্যাডলিকে কাজ চালানো লেফট উইংব্যাক হিসেবে খেলিয়ে গেছেন। এই ৩-৪-৩ বা ৩-৫-২ ছকে কাজ চালানো লেফট উইংব্যাক নিয়ে ছোট দলগুলির সঙ্গে অনায়াসে জেতা গেলেও শক্তিশালী দলগুলোকে হারাতে বেশ বেগ পাওয়ারই কথা ছিল। হয়েছে সেটিই। এভাবে তারা হেরেছে ফ্রান্সের বিপক্ষে গতকাল। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছিল টমাস মুনিয়েরের নিষেধাজ্ঞা কোয়ার্টার ফাইনালের মধ্যেই দুটি হলুদ কার্ড খেয়ে খেলতে পারেননি মুনিয়ের। কাল ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিতে দলের ‘সবেধন নীলমণি’ উইং ব্যাকের না থাকাটা চোখে পড়েছে বাজেভাবেই।
মুনিয়েরের জায়গায় খেলেছেন দেম্বেলে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে আজীবন খেলা দেম্বেলের পক্ষে এই জায়গায় খেলাটা সহজ কিছু ছিল না। আর এই ব্যাপারটা জেনেই মার্টিনেজের বেলজিয়ামকে আক্রমণ করে গেছে দেশমের ফ্রান্স। দেম্বেলের হিটম্যাপ দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন, রাইট উইংব্যাক হিসেবে তাকে খেলতে বলা হলেও তিনি বারবারই মাঝমাঠে চলে আসছিলেন। সেটা হয়তো ইচ্ছে করে নয়, কিন্তু তিনি যেহেতু ওই জায়গার খেলোয়াড়, তাই প্রবণতা থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। তবে তাঁর এই ব্যাপারটিতে ভুগেছে বেলজিয়াম।
দেম্বেলেসহ অন্যান্য খেলোয়াড়দের হিটম্যাপ ও টাচম্যাপ দেখে ফেলুন এখানে –
ম্যাচে উমতিতি আর ভারানের পোক্ত ডিফেন্স ভেদ করতে পারেননি রোমেলু লুকাকু। উল্টো হেডে উমতিতি একটা গোল দিয়ে স্তব্ধ করে দিয়েছেন বেলজিয়ামকে।
ওদিকে এনগোলো কান্তেকে পেছনে রেখে ফ্রান্সের মিডফিল্ড পুরো একাই সামলেছেন আতোয়াঁন গ্রিজমান। দরকার অনুযায়ী নিচে নেমেছেন, নেমে বল সংগ্রহ করেছেন, দরকার পড়লেই ওপরে উঠে আক্রমণ করেছেন, অপেক্ষাকৃত গতিশীল ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের জন্য জায়গা সৃষ্টি করে দিয়েছেন নিয়মিত। একটা সহকারী স্ট্রাইকারের কাছে এর থেকে বেশী কি চান আপনি! পুরো ম্যাচে গোল করার জন্য ছয়টা শট নিয়েছেন গ্রিজমান, তাতে গোল হয়ত হয়নি, কিন্তু বেলজিয়ামের বুকে কাঁপন ঠিকই ধরেছে।
ফাইনালে এখন ইংল্যান্ড বা ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে যেকোন একজনের অপেক্ষা করছে ফরাসিরা। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের অধিনায়ক হয়েই এই শিরোপা জিতেছিলেন দেশম। কোচ হিসেবেও সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি হবে তো?