গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২১১টি কেন্দ্রের বেসরকারিভাবে ফলাফল পাওয়া গেছে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের নৌকা প্রতীক এগিয়ে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের নৌকা প্রতীকে ভোট পান ২,৩৬,১৪৯ এবং বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের ধানের শীষে ভোট পান ১,০৬.৩৯৯ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তার ফল ঘোষণার আগেই বিভিন্ন উৎস থেকে এ ফল পাওয়া যায়। এদিকে গাজীপুর নির্বাচনে দুই কেন্দ্রে ইভিএমের ব্যবহার হয়। ওই দুই কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের নৌকা পান ১২৬৫ এবং বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের ধানের শীষে ভোট পান ৫০৮।
ইভিএম ব্যবহার কেন্দ্র দুটি হলো- বিলাসমনি বালক উচ্চবিদ্যালয় উত্তর পাশের এক নম্বর ভবন, (১৯১ নম্বর, পুরষ কেন্দ্র) ও রানী বিলাসমনি বালক উচ্চবিদ্যালয় দুই নম্বর ভবন (১৯২ নম্বর মহিলা কেন্দ্র)।
এরআগে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
নির্বাচনে জালভোট ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগে সাত কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
তবে দুপুরেই এক সংবাদ সম্মেলনে এসে অনিয়মের ভোটগ্রহণ বন্ধের দাবি জানান বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কমিশনের উচিত স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা।
তবে পাঁচ-ছয়টি কেন্দ্রে অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিবউদ্দীন মণ্ডল।
তিনি বলেন, কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালটে জোরপূর্বক সিল মারা ও জালভোট দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া পাঁচ-ছয়টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
এ নির্বাচনে ৪২৫ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। সাত মেয়রপ্রার্থীর পাশাপাশি ২৫৪ সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৪ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে গাজীপুর সিটির মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন- আওয়ামী লীগের (নৌকা) মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির (ধানের শীষ) হাসান উদ্দিন সরকার।