ভোরের আভা ডেস্ক: নরসিংদীর চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৮টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকালে জেলার সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের আলীপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, আলীপুরা এলাকার দক্ষিণপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন মেম্বার ও উত্তরপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মিয়ার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলীপুরা নতুন বাজারে শাহজাহান পক্ষের কালাম, দ্বীন ইসলাম, খলিলের সঙ্গে কামাল মেম্বারের সমর্থক গুলজার ও করিমের কথাকাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি শুক্রবার সকালে বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে বলে তাৎক্ষণিকভাবে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয় উপস্থিত লোকজন। কিন্তু বৈঠকের আগেই কামাল মেম্বারের কয়েকজন সমর্থক শাহজাহান মিয়ার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহজাহানের সমর্থকরা টেঁটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে কামাল মেম্বারের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় নারীসহ উভয় পক্ষে ২০ জন আহত হন তাদের মধ্যে ৮ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে লুকিয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের মধ্যে আলাল উদ্দিন, জুয়েল মিয়া, মনসুর মিয়া, নান্নু মিয়া, রহিম বাদশা, শহিদুল্লাহ মিয়া, করিম মিয়া, গুলজার হোসেন ও ইমান আলীর পরিচয় জানা গেছে।
দক্ষিণপাড়া এলাকার বিউটি বেগম বলেন, আমার দোকানের প্রায় ২-৩ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এছাড়া শাজাহান পক্ষের খলিল, কালাম, দ্বীন ইসলামসহ ৪০-৫০ জন লোক আমাদের টেঁটা দিয়ে মেরে বাড়িঘর ভাঙচুর করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কামাল মেম্বার ও শাহজাহানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
করিমপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় শাহজাহান ও কামাল মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কথাকাটাকাটির জের ধরেই সংঘর্ষটি হয়েছে। সংঘর্ষে কামাল মেম্বারের লোকজনই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও প্রথমে কামাল মেম্বারের লোকজনই প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৪-১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
সমকাল